ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) থেকে অবৈধ বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন, প্রজেক্ট সাইন, শপ সাইন ইত্যাদি অপসারণে মোবাইল কোর্ট ও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হবে। তবে এ সকল অবৈধ সাইনবোর্ড, প্রজেক্ট সাইন, শপ সাইন অনুমোদন নেয়ার জন্য ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেয়া হবে।
Advertisement
শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক ভার্চুয়াল প্রস্তুতিমূলক সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসি এলাকায় কেউ কেউ অবৈধভাবে বিলবোর্ড স্থাপন করে বিজ্ঞাপন প্রচার করছেন। অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, রিয়েল এস্টেট কোম্পানি এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ডিএনসিসির অনুমোদন ছাড়া শপ সাইন, প্রজেক্ট সাইন, সাইনবোর্ড, প্যানাফ্লেক্স, ব্যানার, ফেস্টুন ইত্যাদি ব্যবহার করছেন। আবার প্রতিটি দোকানে একটি করে সাইনবোর্ড ব্যবহারের কথা থাকলেও অনেক প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে একাধিক সাইনবোর্ড ব্যবহার করছেন। অনেকে নির্ধারিত মাপের চেয়ে বড় সাইনবোর্ড ব্যবহার করছেন। এর ফলে নগরীর সৌন্দর্যহানির পাশাপাশি ডিএনসিসি রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, আগামী ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে সকল অনুমোদনহীন বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড, প্রজেক্ট সাইন, শপ সাইন, প্যানাফ্লেক্স, ব্যানার, ফেস্টুন ইত্যাদি নিজ উদ্যোগে ডিএনসিসির রাজস্ব বিভাগ থেকে অনুমোদন নিতে হবে। অন্যথায় আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে অনুমোদনহীন বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড, প্রজেক্ট সাইন, শপ সাইন, প্যানাফ্লেক্স, ব্যানার, ফেস্টুন ইত্যাদি অপসারণের জন্য মোবাইল কোর্ট ও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
Advertisement
সভায় আরও জানানো হয়, এ বিষয়ে জনগণের অবগতির জন্য মাইকিং এবং গণমাধ্যমে গণবিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হবে। পাশাপাশি ফুটপাত ও সড়কে অবৈধভাবে রাখা নির্মাণসামগ্রী ও অন্যান্য স্থাপনা অপসারণে তাৎক্ষণিক নিলাম কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
সভায় অন্যদের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এম সাইদুর রহমান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. হামিদুর রহমান মিয়াসহ আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এএস/এসআর/জেআইএম
Advertisement