খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত সব পাটকল চালুর দাবিতে বুধবার বিকেলে গণমিছিল করেছে সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ। রাষ্ট্রায়ত্ব সব পাটকল অবিলম্বে চালু, দুর্নীতি-লুটপাট বন্ধ, রাষ্ট্রায়ত্ব সকল পাটকল আধুনিকায়ন এবং অবসরপ্রাপ্ত ও কর্মরত শ্রমিকদের সকল পাওনা অবিলম্বে পরিশোধসহ ১৪ দফা দাবিতে অনুষ্ঠিত গণমিছিল শেষে সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্লাটিনাম জুট মিল গেট থেকে শুরু হয়ে দৌলতপুর নতুনরাস্তা মোড়ে গণমিছিল শেষে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
Advertisement
সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক কুদরত-ই-খুদা’র সভাপতিত্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) কেন্দ্রীয় সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, কেন্দ্রীয় সদস্য ও খুলনা জেলা সভাপতি ডা. মনোজ দাশ, যুগ্ম আহ্বায়ক ও নাগরিক নেতা আ ফ ম মহসিন, ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সদস্য ও শ্রমিক নেতা মোজাম্মেল হক, বাম জোট ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ খুলনা জেলা সমন্বয়ক জনার্দন দত্ত নান্টু, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ খুলনা জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য আনিসুর রহমান মিঠুসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকার রাষ্ট্রায়ত্ব ২৫টি পাটকল বন্ধ করে দিয়ে স্থায়ী, বদলি ও দৈনিক ভিত্তিক প্রায় ৭০ হাজার শ্রমিককে বেকার করেছে। যে কারণে এসব মিলগুলোর লোকসান হয়েছে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে সরকার তার দায় শ্রমিকদের উপর চাপিয়ে দিয়ে পাটকলগুলো বন্ধ করেছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, কোনোভাবেই এসব মিল পিপিপি, লিজ বা ব্যক্তি মালিকানায় দেয়া চলবে না। শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)-এর প্রস্তাবনা অনুযায়ী ১২শ কোটি টাকা ব্যয়ে পাটকলগুলো আধুনিকায়ন করতে হবে। একই সঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত ও কর্মরতসহ সকল শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা এককালীন পরিশোধ করতে হবে। অবিলম্বে দাবি মেনে না নিলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ থেকে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে পিপলস গোল চত্বরে সংহতি সমাবেশ কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়।
Advertisement
আলমগীর হান্নান/এমএএস/পিআর