রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে শতকরা ৯৬ শতাংশেরও বেশি মানুষের বয়স ৩০ বছরের বেশি। তবে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ মারা গেছেন ষাটোর্ধ্ব। ৬০ বছরের বেশি মানুষর মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ।
Advertisement
দেশে গত ৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়। বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারী চার হাজার ৫৯৩ জনের মধ্যে পুরুষ তিন হাজার ৫৮২ জন (৭৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ) এবং নারী এক হাজার ১১১ জন (২২ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ)। স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
করোনায় মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা গেছে, শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী ২০ জন (শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশ), ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী ৩৯ জন (শূন্য দশমিক ৮৫ শতাংশ), ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ১০৯ জন (দুই দশমিক ৩৭ শতাংশ), ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ২৭৭ জন (ছয় দশমিক শূন ৩ শতাংশ), ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৬০১ জন (১৩ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ), ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী এক হাজার ২৪৭ জন (২৭ দশমিক দশমিক ১৫ শতাংশ) এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী দুই হাজার ৩০০ জন (৫০ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ) রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে করোনায় আরও ৪১ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ২৯ জন ও নারী ১২ জন। ৩৬ জন হাসপাতালে, বাড়িতে তিনজন এবং হাসপাতালে নেয়ার পথে দুজনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চার হাজার ৫৯৩ জনে।
Advertisement
করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৪টি করোনা পরীক্ষাগারে ১৪ হাজার ৭৯২টি নমুনা সংগ্রহ হয়। পরীক্ষা হয়েছে ১৪ হাজার ৭৫৫টি নমুনা।
একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৮২৭ জন। ফলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল তিন লাখ ৩১ হাজার ৭৮ জনে। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৭৪ হাজার ৪৫২টি।
এমইউ/বিএ/এমএস
Advertisement