তাহসীন জাওয়াদ ব্যতিক্রমী এক মেধার অধিকারী। তার অসাধারণ কিছু গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তার অনবদ্য গুণ হচ্ছে বিটবক্সিং। তিনি একই কণ্ঠে গান ও বাদ্য বাজানোর কাজ করে থাকেন। বিটবক্সার হিসাবে তার স্টেজ নাম ‘হিক’। ইতোমধ্যে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।
Advertisement
‘জাওয়াদিসতা’ নামে ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজও রয়েছে তার। যেখানে তিনি বিটবক্সিংসহ বিভিন্ন ফানি ভিডিও শেয়ার করে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। জাওয়াদ বর্তমানে পড়ছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রথম বর্ষে। রাজধানীর কল্যাণপুরের ছেলে মোহাম্মাদপুর সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে মাধ্যমিক স্তরে থাকাকালীন বিটবক্স প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেন।
জাওয়াদ যখন দশম শ্রেণিতে, তখন তার দুই বন্ধু শ্রেণিকক্ষে বিটবক্সিং অনুশীলন করতেন। অনেকটা আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে তখন থেকে নিজে নিজে অনুশীলন শুরু করেন। ইউটিউব দেখে ফিলিপাইনের নেইল, অস্ট্রেলিয়ার টমথাম, আমেরিকার নেইপম, কেনি আর্বান, ফ্রান্সের অ্যালেম আর অ্যালেক্সিনোর মতো বিটবক্সারদের অনুকরণ করেছেন। তারপর একটি একটি করে সাউন্ড এবং সাউন্ড সাজাতেও শিখেছেন।
গতবছর রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে ‘বিটবক্স বাংলাদেশ’র আয়োজনে প্রতিযোগিতা হয়। সেখানে সারাদেশ থেকে ৫১ জন বিটবক্সার অংশ নিয়েছিলেন। জাওয়াদ সেই ৫১ জনের একজন। তবে প্রতিযোগিতার বাছাই পর্বে বাদ পড়েছিলেন। ‘বিটবক্স বাংলাদেশ’র প্রতিষ্ঠাতা রনেশ বিশ্বাস ও মুক্তাদির দেওয়ান শান্তর আমন্ত্রণে ঢাকায় মাঝে মাঝে কর্মশালার আয়োজন করা হয়। তখন সারাদেশের বক্সাররা জড়ো হন এবং বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশ নেন।
Advertisement
জাওয়াদের অসামান্য প্রতিভা দেখে অবাক হয়েছেন তার সহপাঠীরা। এমনই এক সহপাঠী রেজওয়ানুল ইসলাম বলেন, ‘জাওয়াদের মত ব্যতিক্রমী ছেলে খুব কমই দেখেছি। ওর স্বপ্ন বড় বিটবক্সার হয়ে মিউজিক বানানো এবং সেটা মার্কেটে উঠানো। এমন প্রতিভাবান ছেলের বন্ধু হতে পেরে আমি ধন্য।’
এ সম্পর্কে জাওয়াদ বলেন, ‘প্রথমদিকে বক্সিংয়ের প্রাথমিক দিকগুলো শেখানো হতো, এখন আমরা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আগাচ্ছি। আমাদের এ অর্জনকে কিভাবে গানের সাথে অ্যাড করা যায়, কিভাকে মিউজিক বানিয়ে বাজারজাত করা যায়, এটাই আমাদের সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ডিসেম্বরে ব্যাটলবক্স বিডি-২০২০ এর প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে রীতিমতো অনুশীলন করে যাচ্ছি। আমি অনেকটা আত্মপ্রত্যয়ী। আসলে আমাদের মুুখের মধ্যে অনেক সম্ভাবনা লুকায়িত আছে। অসম্ভবকে সম্ভব করার জন্য মুখ দিয়ে যা যা করা যায়, তাই আমি শিখছি।’
এসইউ/এএ/এমকেএইচ
Advertisement