সারাদেশে এখনো একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত রয়েছে প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে অনেকে আবেদন করে কোনো কলেজে মনোনীত না হওয়ায় তৃতীয় ধাপের অপেক্ষা রয়েছে। তবে তৃতীয় ধাপেও আবেদন করে বঞ্চিত হলে তারা উন্মুক্ত পদ্ধতিতে ভর্তি হতে পারবে। কলেজে আসন খালি থাকা সাপেক্ষে সরাসরি শিক্ষার্থী ভর্তি করার ঘোষণা দেয়া হবে বলে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড সূত্রে জানা গেছে।
Advertisement
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক হারুন অর রশিদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর একাদশ শ্রেণির তৃতীয় ধাপের ভর্তি কার্যক্রম শেষ হবে। এরপরও যারা ভর্তি থেকে বঞ্চিত থাকবে তাদের জন্য এটি উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। কলেজে আসন খালি থাকলে শিক্ষার্থীরা নিজে উপস্থিত হয়ে সেখানে ভর্তি হতে পারবে।’
তিনি বলেন, তৃতীয় ধাপের পর ঢাকা বোর্ডের আওতায় পাঁচ থেকে ছয় হাজারের মতে শিক্ষার্থী ভর্তি থেকে বঞ্চিত থাকবে। তাদের সুবিধার কথা চিন্তা করে তৃতীয় ধাপে অনলাইন ভর্তি কার্যক্রম শেষ হলে পুরোনো পদ্ধতিতে ভর্তির সুযোগ দেয়া হবে। আসন খালি থাকলে কলেজগুলোতে সরাসরি ভর্তি করানো যাবে। ভর্তি থেকে কেউ যাতে বঞ্চিত না হয় সেজন্য এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান কলেজ পরিদর্শক। এদিকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সময় আরও দুই দিন বাড়ানো হয়েছে। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দেয়া হলেও তা বাড়িয়ে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। আর একাদশে ভর্তি হতে আপাতত একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট বা প্রশংসাপত্র লাগবে না। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সুবিধামতো সময়ে এসব কাগজ কলেজে জমা দিতে পারবে শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) এসব তথ্য জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটি।
Advertisement
ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী, তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ চলবে ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর। পছন্দক্রম অনুযায়ী দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের ফল এবং তৃতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ হবে ১০ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায়।
তৃতীয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সিলেকশন নিশ্চায়ন করতে হবে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত। সিলেকশন নিশ্চায়ন না করলে আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে আর কলেজভিত্তিক চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হবে ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায়। আর বর্ধিত সময় অনুসারে শিক্ষার্থীরা ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবে।
জানা গেছে, চলতি বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট অংশ নেয় ২০ লাখ ৪০ হাজার ২৮ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়।
এমএইচএম/এসআর/এমকেএইচ
Advertisement