করোনার থাবা কলকাতার বেলুড় মঠেও। সংক্রমণ রীতিমতো বিপজ্জনক আকার নিয়েছে বেলুড় মঠে। ইতোমধ্যেই মঠের ৫৪ জন সন্ন্যাসী এবং ১৫ জন কর্মচারী নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বেলুড় মঠের পক্ষ থেকে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
Advertisement
একসঙ্গে এতজন সন্ন্যাসী ও কর্মীদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগে বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষের ঢিলেঢালা মনোভাব ছিল। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া থামাতে স্বাস্থ্যবিধিও কঠোরভাবে মানা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, জুলাই মাস পর্যন্তও বেলুড় মঠের কেউ করোনা আক্রান্ত হননি। তবে অগাস্টের শুরু থেকেই পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। বেলুড় মঠের একের পর এক সন্ন্যাসীর শরীরে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। এখনও পর্যন্ত মঠের ৫৪ জন সন্ন্যাসী ও ১৫ জন কর্মীর শরীরে বাসা বেঁধেছে করোনাভাইরাস। সম্প্রতি মঠেরই কয়েকজন সন্ন্যাসী মহারাষ্ট্র থেকে ফিরেছিলেন। তিনি ছাড়াও কয়েকজন কর্মীও নিজেদের বাড়ি থেকে ফিরে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। সম্ভবত তাদের থেকেই গোটা বেলুড় মঠে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে।
করোনা মোকাবিলায় দেরিতে হলেও এবার তৎপরতা নিচ্ছে বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ। মঠের ভিতরেই তৈরি করা হচ্ছে কোয়ারেন্টিন সেন্টার। মঠের করোনা আক্রান্ত সন্ন্যাসী ও কর্মীদের সেখানেই রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে আক্রান্তদের শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হলে তাদের তড়িঘড়ি কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে।
Advertisement
এদিক, রাজ্যে ক্রমেই বাড়ছে সংক্রমণ। একদিনে ফের তিন হাজারের বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মঙ্গলবারের রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, কলকাতায় একদিনে করোনায় ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৩,০৯১ জন।
এমআরএম