প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার বাজেটে নির্মিত ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’ ছবিটি। হলিউডের অভিনেতা এবং চলচ্চিত্র নির্মাতাদের মাঝে বর্ণবৈষম্য নিয়ে বহু বছরের সমালোচনার পর কৃষ্ণাঙ্গ সুপারহিরোকে হাজির করতে এই চরিত্রটি যাত্রা করে।
Advertisement
হলিউডের প্রথম কোনো কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেতা সুপারহিরো হিসেবে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত চাদউইক বোসম্যান। মাত্র ৪৩ বছর বয়সেই কোলন ক্যান্সারে মৃত্যু হয়েছে তার। জানা গেছে এই অভিনেতা ২০১৬ সাল থেকে রোগে ভুগছিলেন।
তার মৃত্যুর পর থেকেই মার্ভেলের কাছে ভক্তদের দাবি ছিল, সিনেমাটির জন্য যেন নতুন কাউকে নিয়ে আসা না হয়। তাই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান মার্ভেল সিনেমাটির ভবিষ্যৎ নিয়ে পড়েছে বেশ দ্বিধা-দ্বন্দ্বে। ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’ সম্পর্কে বলতে গিয়ে এ সিনেমার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু ব্যক্তি রয়টার্সকে জানান, ‘মার্ভেল এবং ওয়াল্ট ডিজনির উচিৎ বোসম্যানকে স্মরণ করে দারুণ কিছু তৈরি করা। একটি সুন্দর গল্পের মাধ্যমে তাকে আবার আমাদের মাঝে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। ভক্তরা সেটাই চাইছে।
তবে নতুন কোনো অভিনেতাকে ব্ল্যাক প্যান্থার হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিতে হলে অবশ্যই সতর্ক থাকা উচিৎ। কারণ বোসম্যানকে ঘিরে মানুষের আবেগ জমে আছে। তার অকাল প্রয়াণ বিশ্বজুড়ে তার ভক্তদের মন ভেঙ্গে দিয়েছে। তারা যেন মেন নেন এমন কাউকে এই চরিত্রে রাখতে হবে।’
Advertisement
তব এখনো ডিজনি এবং মার্ভেল তাদের পরবর্তী কোনো পরিকল্পনা নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। বোসম্যানকে শ্রদ্ধা নিবেদনের দিকেই তারা বেশি মনোনিবেশ করেছে আপাতত। উল্লেখ্য ২০১৮ সালে চাদউইক বোসম্যান অভিনীত ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’ সেরা সিনেমা হিসেবে অস্কার জয় করেছিল। যা ছিল প্রথম সুপারহিরো সিনেমার অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড জয়। ৪৩ বছর বয়সী বোসম্যান ২০১৬ সাল থেকে কোলন ক্যানসারে ভুগছিলেন। যদিও এ বিষয়ে তিনি প্রকাশ্যে কখনো কিছু বলেননি। ক্যান্সার নিয়েই তিনি কাজ করে গেছেন আপন মনে।
এলএ/এমএস