ফিচার

অ্যামাজনের শুরুটা ঠিক যেভাবে হয়েছিল

তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে অনলাইন ব্যবসা এখন জমজমাট। উন্নত দেশ থেকে শুরু করে তা এখন ছড়িয়ে পড়েছে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যেও। অনুন্নত দেশগুলোও হয়তো একদিন অনলাইন ব্যবসায় নিজেদের অবস্থান তৈরি করে নেবে। তা সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

Advertisement

তারই হাত ধরে অনলাইন শপিং প্লাটফর্ম ‘অ্যামাজন’ বিশ্বে একটি সুপরিচিত ও জনপ্রিয় নাম। যেখান থেকে কোনো ঝামেলা ছাড়াই ঘরে বসে পছন্দমতো কেনাকাটা করা যায়। বিশ্বের অন্য সব অনলাইন শপিং প্লাটফর্মের মধ্যে অ্যামাজন বহুল আলোচিত একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

তবে একদিনেই পরিচিত বা জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি অ্যামাজন। এর পেছনে রয়েছে ২৬ বছরের ইতিহাস। অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের বাবা-মায়ের অবদান কোনো অংশেই কম নয়। অ্যামাজনের কর্মীরাও পিছিয়ে নেই ১৯৩.৫ বিলিয়ন ডলার অর্জনের অবদান থেকে।

মার্কিন গণমাধ্যমগুলো জানায়, বিশ্বের প্রায় সব দেশেই অ্যামাজনের অনলাইন ক্রেতা রয়েছে। যদিও অ্যামাজন মার্কিন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। এর সদর দফতর ওয়াশিংটন রাজ্যের সিয়াটলে। জেফ বেজোস ১৯৯৪ সালে অ্যামাজন প্রতিষ্ঠা করেন। তখন অ্যামাজন অনলাইনে বই বিক্রি করতো।

Advertisement

বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি যাবতীয় পোশাক, আসবাবপত্র, ইলেক্ট্রনিক্স গ্যাজেটসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রি করে। অ্যামাজন আজ যেখানে দাঁড়িয়ে আছে; ২৬ বছর আগে কিন্তু তা ছিল না। অনেক প্রতিবন্ধকতা পার হয়েই প্রতিষ্ঠানটি কোটি কোটি মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছে।

দেশটির গণমাধ্যম সিএনবিসিকে অ্যামাজনের সিইও জেফ বেজোস জানান, ১৯৯৪ সালে অনলাইন বইয়ের দোকান চালু করার জন্য তিনি বাবা-মায়ের কাছ থেকে ২৭৫,৫৭৩ ডলার নিয়েছিলেন। যদিও এতে কতটা সাফল্য আসবে তা তিনি প্রথমেই অনুমান করতে পারেননি। তার মনে হয়েছিল, একশ শতাংশের মধ্যে ত্রিশ শতাংশ সফলতা আসতে পারে।

তিনি জানান, বাবা-মায়ের টাকাগুলো নষ্ট হতে পারে ভেবে মাঝেমাঝে মন খারাপ হতো। তবে হাল ছেড়ে দেননি। এ ব্যবসায় তাকে সব সময় সাহস জুগিয়েছেন তার মা। ফলে সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করতেন। তার সেই কষ্টের ফলে আজ তিনি পৃথিবীর অন্যতম ধনী। তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১৯৩.৫ বিলিয়ন ডলার।

এ ছাড়া আমেরিকা, ফ্রান্স, রাশিয়া, কানাডা, ভারত, ব্রাজিল, জাপান, চীন, অস্ট্রেলিয়া ও মেক্সিকোসহ সারা বিশ্বেই তাদের ব্যবসা রয়েছে। জেফ বেজোসের এ সফলতায় তার কর্মীদের অবদানও কম নয়। তাই তো অ্যামাজনের সঙ্গে বর্তমানে যুক্ত রয়েছেন প্রায় ৭ লাখ কর্মী।

Advertisement

এসইউ/এএ/জেআইএম