নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে অপহৃত কলেজছাত্রী গত ১৫ দিনেও উদ্ধার হয়নি। অপহরণের ঘটনায় মামলা দায়েরের পর মামলা তুলে নিতে অপহরণকারীরা বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ছাত্রীর স্বজনরা। এদিকে মেয়েকে ফিরে না পেয়ে তার মা শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছেন। এলাকাবাসী ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, বেগমগঞ্জ থানার লাউতলী এলাকার বালিয়াকান্দী কলেজের ছাত্রী মাহমুদা রশিদ নিপুকে লেখাপড়া করাতো একই এলাকার জাকের হোসেনের ছেলে জোবায়ের আলম মামুন বাবলু। কিন্তু জোবায়ের আলম মামুন বাবলু ছাত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণসহ নানাভাবে উত্ত্যক্ত করত। যা ওই সময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ জুবায়েরের স্বজনদের জানায় নিপুনের পরিবার। পরবর্তীতে গৃহশিক্ষকতা থেকে মামুনকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জুবায়ের আলম মামুন বাবলু তারই সাবেক ছাত্রী নিপুকে অপহরণসহ বড় ধরনের ক্ষতি সাধনের হুমকি দেয়। পরবর্তীতে ক্ষিপ্ত জোবায়ের মামুন ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় তার ভাই অনিকসহ আরো ২/৩ জন অজ্ঞাত সহযোগীকে নিয়ে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে একটি মাইক্রোবাসে করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে নিপুর স্বজনরা তাকে খুঁজতে জুবায়ের আলম মামুন বাবলুর বাড়িতে গেলে বাবলুর বাবা জাকের হোসেন, চাচা মোহাম্মদ আলী ও ফারুক তাদের হুমকি দেয়। এ সময় তারা বলেন, জুবায়ের আলম মামুন বাবলুর সঙ্গে নিপুর বিয়ে না দিলে নিপুকে ফেরত দেয়া হবে না। এমনকি তারা নিপুকে হত্যা করে লাশ গুম করারও হুমকি দিতে থাকে। অপহরণের ঘটনায় মেয়েকে না পেয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছে নিপুর মা রেহানা খানম শিল্পী। এ ঘটনায় গত ২০ অক্টোবর বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন অপহৃতার চাচা হাসান। তবে অপহরণের ১৫ দিনেও উদ্ধার হয়নি কলেজ ছাত্রী মাহমুদা রশিদ নিপু। এ ব্যাপারে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামলা দায়েরের ঘটনা স্বীকার করে জানান, অপহৃতকে উদ্ধার করতে পারিনি। আমরা তদন্ত করছি। আশা করি শিগগরই তাকে উদ্ধার করতে সমর্থ হবো। এসএস/এমএস
Advertisement