বিনোদন

অনেকগুলো সিনেমা নিয়ে দ্বিধায় ফেরদৌস

করোনার থাবায় বদলে গেছে পরিবেশ। সবখানেই এখন বিষন্নতা। গতিশীল সময়কে জাগিয়ে রাখতে করোনার হুমকি মাথায় নিয়েই সবকিছু স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চলছে বটে। তবে করোনার ভয় কাটেনি এখনো। প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছেন হাজার হাজার। পাওয়া যাচ্ছে মৃত্যুর খবরও।

Advertisement

এমনি সময় কাজে ফিরতে অনেকেই দ্বিধায় রয়েছেন। নিজের জন্য না হোক, পরিবারের সদস্য, শিশুদের জন্য ভাবতে হচ্ছে অনেককিছু।

তেমনি এক দোটানার মধ্যে দিন পার করছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস। করোনা আসার আগে বেশ কিছু ছবিতে তিনি শুটিং করছিলেন। সেগুলো আটকে আছে। শোনা যাচ্ছে সরকারিভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুটিংয়ের অনুমতি পাওয়ার পর থেকেই ছবির নির্মাতারা নিজেদের প্রস্তুতি সারছেন। শিগগিরই হয়তো শুটিংয়ের ডাক পড়বে ফেরদৌসের।

তবে ফেরদৌস বলছেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে কী করবো সেটাই বুঝে উঠতে পারছি না। অনেকদিন ঘরবন্দী হয়ে আছি। এভাবে আর কতদিন থাকা যায়। ওদিকে শুটিং শুরু হচ্ছে। শুটিং তো একটা টিম ওয়ার্ক। একজনের জন্যই অনেককিছু নষ্ট হয়। সেখানে যোগ দেয়া জরুরি। কিন্তু এমন অবস্থায় ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে পারব কিনা তা নিয়ে এখনও দ্বিধা-দ্বন্দ্বে আছি।

Advertisement

কারণ শুটিং শেষে আমাকে বাসায় ফিরতে হবে। বাসায় স্ত্রী আছে, দুই সন্তান আছে। আরও লোকজন আছে। সবার নিরাপত্তার কথা ভাবতে হয়। এখনো প্রতিদিন হাজার হাজার করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাই। এসব দেখে শংকা তো জাগেই। কেউই চাইবে না, তার জন্য পরিবারের অন্যরা ভোগান্তির শিকার হোক। একটু দেখেশুনে সিদ্ধান্ত নেবো।’

লকডাউনের আগে আগে দুটি বিজ্ঞাপনের কাজ করেছিলেন ফেরদৌস। বর্তমানে ‘গাঙচিল’, ‘জ্যাম’, ‘বিউটি সার্কাস’, ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’, ‘যদি একটু সময় পেতাম’ ছবিগুলোর কাজ শেষ পর্যায়ে আটকে আছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এ ছবিগুলোর শুটিংয়ে যোগ দেবেন এ নায়ক। এরপর শুরু করবেন ‘চট্টলা এক্সপ্রেস’ ছবির শুটিং।

এলএ/এমকেএইচ

Advertisement