‘নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৪ জন মারা গেছেন। জীবিত আছেন ১৩ জন। তবে তাদের সবারই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে, শরীরের ৫০ থেকে ৭০-৮০ ভাগও পুড়ে গেছে। ফলে কেউই আশঙ্কামুক্ত নয়। জীবিতদের সারিয়ে তোলার সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে।’
Advertisement
রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দগ্ধদের দেখতে এসে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় মোট ৩৭ জন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়েছেন। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে তাদের মধ্যে ২৪ জন মারা গেছেন। যারা বেঁচে আছেন তাদের সবার শরীরের ৫০ থেকে ৭০-৮০ ভাগ পর্যন্ত পোড়া। জীবিত ১৩ জনের শারীরিক অবস্থাও আশঙ্কাজনক, তাদের সবার শ্বাসনালি পোড়া। তাদের মধ্যে ছয়জনকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। এই ছয়জনের অবস্থা ক্রিটিক্যাল আর বাকিরাও আশঙ্কামুক্ত নয়।
তিনি বলেন, জীবিতদের সারিয়ে তোলার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।
Advertisement
আহতদের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে প্রশ্নে তিনি বলেন, ক্ষতিপূরণের বিষয়ে পরবর্তীতে আলোচনা করে জানানো হবে।
ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এ ঘটনায় 'অবহেলাজনিত মৃত্যুর' কথা উল্লেখ করে ফতুল্লা থানায় মামলা হয়েছে। পাশাপাশি তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ সময় উপস্থিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, আপাতত আহতদের চিকিৎসা-ওষুধপত্র এবং নিহতদের দাফনে ক্ষতিপূরণ দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের দুর্যোগ বিষয়ক কমিটি বৈঠকে বসবে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ নিয়ে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হবে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে মসজিদের ভেতরে থাকা প্রায় ৫০ জনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হুড়াহুড়ি করে বের হওয়ার চেষ্টা করেন তারা। তাদের মধ্যে দগ্ধ অবস্থায় ৩৭ জনকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় ২৪ মৃত্যু হয়েছে।
Advertisement
এদিকে প্রাথমিকভাবে এসি নয় গ্যাসলাইন থেকে মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন। শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ কথা জানান তিনি।
এ ঘটনায় তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিস একটি, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ একটি ও জেলা প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
এআর/এএইচ/পিআর