জাতীয়

‘৭৫ পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার অভিভাবক ছিলেন প্রণব মুখার্জি’

‘ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম ও স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনীতির বিভিন্ন অধ্যায়ে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যার পর ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী যখন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে আশ্রয় দিয়ে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের প্রতি ভালোবাসার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন, সেই সময় প্রণব মুখার্জি বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করেন’— বলেছেন সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি।

Advertisement

শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত প্রণব মুখার্জি স্মরণে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব আয়োজিত শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় এস রহমান হলে আয়োজিত সভায় ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘শুধু আমাদের মুক্তিযুদ্ধে নয়, স্বাধীন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহে তিনি বিশেষ অবদান রাখেন। বিশেষ করে ওয়ান/ইলেভেনের সময় সেনাপ্রধান জেনারেল মঈন ইউ আহমেদ যখন ছয়দিনের ভারত সফরে গিয়েছিলেন, প্রণব মুখার্জি সেদিন তাকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে জোরালোভাবে অনুরোধ করেন। সবকিছু মিলিয়ে প্রণব মুখার্জি বঙ্গবন্ধু পরিবারের ঘনিষ্ঠ স্বজন ছাড়াও বাংলাদেশের পরীক্ষিত অকৃত্রিম বন্ধু ছিলেন।’

স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ। প্রণব মুখার্জির বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের ওপর আলোকপাত করে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি এম নাসিরুল হক, মোস্তাক আহমেদ, মঈনুদ্দিন কাদেরী শওকত, জাহিদুল করিম কচি, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সহ-সভাপতি আসিফ সিরাজ, প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহসিন চৌধুরী, সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি সালাহ উদ্দিন মুহাম্মদ রেজা, কোষাধ্যক্ষ দেবদুলাল ভৌমিক প্রমুখ।

Advertisement

সভার শুরুতে প্রণব মুখার্জির প্রতিকৃতিতে প্রধান অতিথি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব নেতারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।

আবু আজাদ/এমএআর/এমএস