জাতীয়

মসজিদে বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় ধর্ম সচিবের শোক

নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা এলাকায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. নুরুল ইসলাম।

Advertisement

শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) এক শোকবার্তায় নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি।

মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন প্রেরিত বার্তায় ধর্মসচিব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মুসল্লিদের দ্রুত আরোগ্য ও সুস্থতা কামনা করেন।

আহত মুসল্লিদের সর্বাত্মক সুচিকিৎসার বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় খোঁজ-খবর রাখছে বলে শোকবার্তায় বলা হয়।

Advertisement

উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে মসজিদের ভেতরে থাকা প্রায় ৫০ জনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হুড়াহুড়ি করে বের হওয়ার চেষ্টা করেন তারা। তাদের মধ্যে দগ্ধ অবস্থায় ৩৭ জনকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- রিফাত (১৮), মোস্তফা কামাল (৩৪), জুবায়ের (১৮), সাব্বির (২১), কুদ্দুস ব্যাপরী (৭২), হুমায়ুন কবির (৭০), ইব্রাহিম (৪৩), মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৮), জুনায়েদ (১৭), জামাল (৪০), জুয়েল (৭), জয়নাল আবেদিন (৪০), মাইনুদ্দিন (১২), মো. নয়ন (২৭) ও কাঞ্চন হাওলাদার (৫৩) ও রাসেল ৯৩৪)।

নিহত ১৭ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১২ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ১২ জনের মরদেহ নারায়ণগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়

এদিকে প্রাথমিকভাবে এসি নয় গ্যাসলাইন থেকে মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন। শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ কথা জানান তিনি।

Advertisement

এ ঘটনায় তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিস একটি, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ একটি ও জেলা প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

এমইউ/বিএ/এমএস