দেশজুড়ে

সারি সারি লাশ, জানাজা শেষে কেঁদে কেঁদে প্রিয়জনকে দাফন

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিম তল্লা বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে এ পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। একে একে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মুসল্লিদের লাশ। স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে আশপাশের পরিবেশ।

Advertisement

শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ১২ জনের মরদেহ নারায়ণগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একে একে সবার মরদেহ মাঠে রাখা হয়েছে। জানাজা শেষে সবার মরদেহ দাফন করা হবে। এরই মধ্যে এক শিশুর জানাজা শেষ হয়েছে। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে শিশুটির জানাজা শেষ হয়। পরে কেঁদে কেঁদে শিশুটিকে দাফনের জন্য নিয়ে যান স্বজনরা।

এর আগে বিকেল থেকে একে একে নিহতদের মরদেহ ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকায় নিয়ে আসা হয়। ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা বোমওয়ালার বাড়ির খেলার মাঠে নিহতদের জানাজার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে অনেকগুলো খাটিয়া। গোসল ও জানাজা শেষে মরদেহ দাফনের জন্য প্রস্তুত স্থানীয়রা।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণে শনিবার রাত পর্যন্ত শিশুসহ ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। একসঙ্গে এতগুলো মানুষ মারা যাওয়ায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাদের মৃত্যুতে পুরো এলাকায় কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। একই সঙ্গে শনিবার এলাকার সব দেকানপাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।

Advertisement

নিহতদের মরদেহ গ্রহণ করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক। জানাজা শেষে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবেন ইউএনও।

এদিকে নিহতদের পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. জসিম উদ্দিন।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে মসজিদের ভেতরে থাকা প্রায় ৫০ জনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হুড়োহুড়ি করে বের হওয়ার চেষ্টা করেন তারা। তাদের মধ্যে দগ্ধ অবস্থায় ৩৭ জনকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। শনিবার রাত পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

শাহাদাত হোসেন/এএম/এমকেএইচ

Advertisement