ভাগ্যিস এখনো ক্রিকেটারদের কেউ করোনা আক্রান্ত হননি। তবুও মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে অনেক দেরিতে হলেও করোনার হানা। একজন করেন স্থানীয় ট্রেনার, ফিজিও এবং মাঠকর্মী- সব মিলে তিন সাপোর্টিং স্টাফ করোনা আক্রান্ত।
Advertisement
যারা গত এক মাস প্রায় জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের অনুশীলনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে আসছিলেন, এমন তিন সাপোর্টিং স্টাফ করোনা পজিটিভ- খুব স্বাভাবিকভাবেই ক্রিকেটাররা ঝুঁকিতে।
আর তাই কাল বিলম্ব না করে শেরে বাংলায় ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত অনুশীলন তিনদিনের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কাল শুক্রবার, আজ শনি ও আগামীকাল রোববার- তিনদিন ক্রিকেটারদের প্র্যাকটিস না করার কথা জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
কিন্তু ভেতরের খবর, ক্রিকেটারদের চলমান অনুশীলন আরও কয়েকদিন বন্ধ থাকতে পারে। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরীর মুখেই পাওয়া গেছে এই আভাস।
Advertisement
জাগো নিউজের সাথে আলাপে দেবাশীষ চৌধুরী জানান, ‘আমরা ক্রিকেটারদের শারীরিক নিরাপত্তার কথা ভেবেই তিনদিনের জন্য প্র্যাকটিস বন্ধ রেখেছি। তবে সেটা আরও কয়েকদিন বাড়তে পারে।’
দেবাশীষ চৌধুরীর কথা, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হলো শ্রীলঙ্কা সফর। তিন ম্যাচে টেস্ট সিরিজের আগে ক্রিকেটারদের পুরোপুরি শারীরিক, মানসিক ও ক্রিকেটীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করার লক্ষ্যেই আমরা কার্যক্রম হাতে নিয়েছি এবং সবকিছু ঠিক থাকলে হয়ত সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে দেশের মাটিতেই জাতীয় দলের প্রস্তুতি শুরু হবে। তার অগে যাতে ক্রিকেটাররা পুরোপুরি সুস্থ থাকে, সে কাজটাও আমাদেরই করতে হবে। তাই আমরা হয়ত ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত অনুশীলন আরও কয়েকদিন বন্ধ রাখতে পারি। যাতে ক্রিকেটারদের কেউ করোনায় আক্রান্ত না হন। তাদেরকে এখন সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত রাখতেই আমরা প্র্যাকটিস সাময়ীকভাবে স্থগিত করেছি। সেটার সময়সীমা বাড়ানোর চিন্তাও আছে আমাদের।’
ডাঃ দেবাশীষের কথায় পরিষ্কার- মুশফিক, তামিম, মুমিনুল, রিয়াদ, লিটন ও স্যৌম্যদের প্র্যাকটিস তিনদিন থেকে বেড়ে ৫ কিংবা ৭ দিন বন্ধ থাকলেও অবাক হবার কিছু থাকবে না।
এআরবি/আইএইচএস/এমএস
Advertisement