জাতীয়

টাইম স্কেলের পরিবর্তে বাড়তি সুবিধা দেবে সরকার

টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের পরিবর্তে সরকারি চাকরিজীবীদের বাড়তি সুবিধা দেবে সরকার। নতুন পে-স্কেলে শিক্ষকসহ বৈষম্যের শিকার সরকারি চাকরিজীবীদের এ সুবিধা দেয়া হবে বলে জানা গেছে। নতুন বেতন কাঠামোর খসড়া প্রজ্ঞাপনে এ বিধান যুক্ত হচ্ছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে খসড়াটি আইন মন্ত্রণালয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার (ভেটিং) জন্য পাঠানো হবে। পরে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। তার পরই জারি হবে প্রজ্ঞাপন।রোববার সচিবালয়ে বেতন বৈষম্য নিরসন-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কমিটির প্রধান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্ব অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, টাইম স্কেল-সিলেকশন দেয়া হবে না। তার পরিবর্তে একটা কিছু দেয়া হবে, যা কিছু দেয়া হবে, তার মাধ্যমে সবাই আগের চেয়ে বেশি লাভবান হবেন। নিরসন হবে বেতন বৈষম্য। তিনি আরো জানান, কারো সুযোগ-সুবিধা কমানো হবে না। বরং আরও কীভাবে বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা চলছে। তবে বিশেষ সুবিধা কী হবে, সে বিষয়ে পরিষ্কার কিছু বলেননি অর্থমন্ত্রী।বেতন বৈষম্য নিরসন-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির প্রধান অর্থমন্ত্রী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের কমিটির অভিমত হচ্ছে, ইতিবাচক সমাধান দরকার। সে লক্ষ্যে সবাই একমত হয়েছি। নতুন বেতন কাঠামোতে ব্যাপকভাবে বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে মুহিত বলেন, সরকারের উদ্দেশ্য হচ্ছে, যারা এতদিন যেসব সুবিধা পেয়ে আসছেন, তার চেয়েও বেশি দেয়া। কমানোর কোনো উদ্দেশ্য নেই।অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিসিএস প্রকৃচি, সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাসহ অনেকেই অভিযোগ করেছেন, তাদের বেতন-ভাতা কমিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু তাদের অভিযোগ সত্য নয়। টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বিলুপ্ত করা হলেও তার পরিবর্তে যা দেয়া হবে তাতে আরো বেশি সুবিধা পাবেন তারা।তিনি বলেন, ১০ বছর পর কর্মচারীরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এক ধাপ ওপরের বেতন-ভাতা পাবেন। ১৫ বছর পর আবার আরেক ধাপ ওপরে বেতন-ভাতা পাবেন। এ পদ্ধতি কার্যকর হলে যাদের বেতন বৈষম্য আছে তা দূর হবে।অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক ক্যাডারে গ্রেড-১-এর পদ সৃষ্টি করা হয়েছে, যা আগে ছিল না। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। এ বিষয়ে শিগগিরই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।বৈঠকে বেতন বৈষম্য নিরসন-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অন্যান্য সদস্যের মধ্যে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ, জনপ্রশাসনের সিনিয়র সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।বিএ

Advertisement