জাতীয়

বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে ফায়ার সার্ভিসের কমিটি

নারায়ণগঞ্জের তল্লা বায়তুল সালাহ জামে মসজিদে এশার নামাজের সময় এসি বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস।

Advertisement

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপস) লে. কর্নেল জিল্লুর রহমানকে প্রধান করে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি একসঙ্গে কেন ছয়টি এসিই বিস্ফোরিত হয়েছে তা তদন্ত করে দেখবে।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান বলেন, মসজিদের মেঝের নিচে তিতাস গ্যাসের একটি লাইন রয়েছে। মসজিদের ভেতর গ্যাস জমে এই বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ তবে বিস্ফোরণের সঠিক কারণ জানতে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিবে৷

ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, বিস্ফোরণের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। মসজিদে ছয়টি এসি ছিল। প্রাথমিকভাবে ছয়টি এসিই বিস্ফোরিত হয়েছে বলে মনে হয়েছে। কেন ছয়টি এসি বিস্ফোরিত হলো তা তদন্তে কমিটি করা হয়েছে।

Advertisement

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানান, এশার নামাজের শেষ সময় এয়ারকন্ডিশনের গ্যাসের লিকেজ হয়ে এ বিস্ফোরণ ঘটে। মসজিদের ফ্লোরের নিচ দিয়ে এয়ারকন্ডিশনের পাইপের সংযোগ ছিল। পাইপ লিক করে বুদবুদ আকারে গ্যাস বের হচ্ছিল। দরজা জানালা বন্ধ থাকায় কেউ হয়তো ইলেকট্রিক লাইনের কোনো সুইচ চালু করতে গিয়ে বিদ্যুৎ স্পার্ক হয়ে বিস্ফোরণটি ঘটে। এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক আহত হয় বলে জানান তিনি।

এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার এশার নামাজ শেষে মোনাজাত চলাকালে মসজিদের এসি বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এ সময় মসজিদে প্রায় ৫০-৬০ মুসল্লি ছিল। বিস্ফোরণের পর হুড়োহুড়ি করে বের হওয়ার সময় অনেককেই বস্ত্রহীন এবং শরীর ঝলছে যাওয়া অবস্থায় দেখা গেছে। অনেককেই কান্নাকাটি করতে করতে বের হতে দেখা যায়। মসজিদের ফ্লোর রক্তাক্ত অবস্থায় দেখা যায়।

এদিকে বিস্ফোরণে মসজিদের দুই টনের ছয়টি এসির সবগুলোর যন্ত্রাংশ বেরিয়ে গেছে। মসজিদের ফ্যানগুলো বাঁকা হয়ে গেছে। বিস্ফোরণে মসজিদের ভেতরে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জমশের আলী ঝন্টু জানান, বিস্ফোরণের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখি মসজিদের ভেতরে অনেক লোক দগ্ধ হয়ে পড়ে রয়েছেন। মসজিদের ফ্লোরে রক্তে ভাসছে। মনে হয়েছে ধ্বংসস্তুপ এক মসজিদ।

Advertisement

এএইচ