নারায়ণগঞ্জের খানপুর তল্লা এলাকার বড় মসজিদে এসি বিস্ফোরণে ৩৫-৪০ মুসল্লি দগ্ধ হয়েছেন। বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে মসজিদের ভেতরে আগুন ছড়িয়ে পড়লে হুড়োহুড়ি করে বের হতে গিয়ে আরও কয়েকজন আহত হয়। তাদের মধ্যে ১৫-২০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কয়েকজনের মারা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে।
Advertisement
এদিকে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও সংশ্লিষ্টরা বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেনি। তবে বৈদ্যুতিক লাইনে সমস্যা থাকা সত্ত্বেও মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি মসজিদ কমিটি-এমনটাই অভিযোগ মুসল্লিদের।
শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা বাইতুস সালাম জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার এশার নামাজ শেষে মোনাজাত চলাকালে মসজিদের এসি বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এ সময় মসজিদে প্রায় ৫০-৬০ মুসল্লি ছিল। বিস্ফোরণের পর হুড়োহুড়ি করে বের হওয়ার সময় অনেককেই বস্ত্রহীন এবং শরীর ঝলছে যাওয়া অবস্থায় দেখা গেছে। অনেককেই কান্নাকাটি করতে করতে বের হতে দেখা যায়। মসজিদের ফ্লোর রক্তাক্ত অবস্থায় দেখা যায়।
Advertisement
এদিকে বিস্ফোরণে মসজিদের দুই টনের ছয়টি এসির সবগুলো বিস্ফোরণের পর সব যন্ত্রাংশ বেরিয়ে গেছে। মসজিদের ফ্যানগুলো বাঁকা হয়ে গেছে। বিস্ফোরণে মসজিদের ভিতরে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জমশের আলী ঝন্টু জানান, বিস্ফোরণের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখি মসজিদের ভেতরে অনেক লোক দগ্ধ হয়ে পড়ে রয়েছেন। মসজিদের ফ্লোরে রক্তে ভাসছে। মনে হয়েছে ধ্বংসস্তুপ এক মসজিদ।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আরেফিন জানান, মসজিদের এসি বিস্ফোরণে অনেকে দগ্ধ হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে। ধারণা করা হচ্ছে মসজিদের পাশে একটি ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ ঘটার পর মসজিদের এসিও বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এখনো মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়নি। বিস্ফোরণে ৩৫-৪০ মুসল্লি দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
শাহাদাত/এএইচ
Advertisement