করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে সব দেশের কাছে আদর্শ হয়ে উঠেছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু এই সফল দেশটির জন্যই এবার দুঃখজনক খবর এলো। নতুন করে দেশটিতে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
Advertisement
গত মে মাসের পর দেশটিতে এটাই প্রথম করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা। গত কয়েক মাসে দেশটিতে সংক্রমণ ছিল একেবারেই কম। অপরদিকে একজনও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়নি।
কিন্তু শুক্রবার সকালেই নতুন করে একজনের মৃত্যুর খবরে দেশটিতে নতুন করে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। অকল্যান্ডের হাসপাতালে ৫০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন তিনি। তাকে ইন্টেন্সিভ কেয়ারে রাখা হয়েছিল।
Advertisement
গত কয়েক সপ্তাহে বৃহত্তম অকল্যান্ড শহর করোনার নতুন হটস্পটে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যেই সেখানে শতাধিক সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার অকল্যান্ডে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে আরও পাঁচজন।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথমবারের মতো করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। নিউজিল্যান্ডে করোনার প্রাদুর্ভাব ঘটে আরও পরে।
তবে প্রথম থেকেই করোনা পরিস্থিতিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড সরকার। প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্নের নেতৃত্বে কঠোর বিধি-নিষেধ মেনে চলেছে নিউজিল্যান্ডবাসী।
প্রায় একশ দিনের বেশি সময় ধরে নিউজিল্যান্ডে নতুন করে কোনো সংক্রমণ ধরা পড়েনি। ফলে কঠোর বিধি-নিষেধ কিছুটা শিথিল করে আনতে শুরু করে কর্তৃপক্ষ। মূলত তারপর থেকেই নতুন করে সংক্রমণ শুরু।
Advertisement
এদিকে, দেশটির স্বাস্থ্য মহাপরিচালক অ্যাসলে ব্লুমফিল্ড আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে। অপরদিকে, প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন জানিয়েছেন, আরও দুই সপ্তাহ অকল্যান্ডে কিছুটা কড়াকড়ি জারি থাকবে।
নিউজিল্যান্ডে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ১ হাজার ৭৬৪। এর মধ্যে মারা গেছে ২২ জন। ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ হাজার ৬৩০ জন। দেশটিতে বর্তমানে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ১১২টি এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে ৬ জন।
টিটিএন/এমএস