জাতীয়

হত্যাকারীরা শনাক্ত হয়নি : তারিক শঙ্কামুক্ত নন

রাজধানীর লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বরের প্রকাশকসহ তিনজনকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় এখনো কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সংস্থা। বাড়ির আশপাশে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকায় প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত তিনজনের জবানবন্দীর উপর নির্ভর করেই চলছে তদন্তকাজ।শনিবার দুপুরে রাজধানীর লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর কর্ণধার আহমেদুর রশিদ চৌধুরী টুটুলসহ তিনজনের উপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। অপর দুজন হচ্ছেন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ও লেখক তারিক রহিম এবং কবি ও লেখক সুদীপ কুমার বর্মন (রনদীপন বসু)। তারিক রহিম ছাড়া বাকিরা শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, তিনজন দুর্বৃত্ত দরজা ভেঙে চাপাতি দিয়ে তাদের কোপানোর চেষ্টা করে। তারা প্রতিরোধ করলে গুলিও ছোড়ে। শাহবাগ থানা পুলিশের পাশাপাশি এঘটনার ছায়া তদন্ত করছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি), র্যাব ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের বিষয়ে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের যুগ্ম কমিশনার বলেন, আমরা প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেছি। আহতরা সুস্থ হলে তাদের সঙ্গে কথা বলা হবে। তারপর  আসামিদের শনাক্ত করা যাবে। হত্যা চেষ্টায় চাপাতির পাশাপাশি গুলির ব্যবহার করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে অপরাধীরা পেশাদার ছিল না বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।এই হত্যা চেষ্টার ৮ মাস আগে প্রকাশক টুটুল নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। টুটুলকে হত্যাচেষ্টা পুলিশের ব্যর্থতা কি-না জানতে চাইলে মনিরুল ইসলাম বলেন, টুটুল ফেব্রুয়ারির ২৬ তারিখে নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করেছিলেন। তবে এ কারণে ঢালাওভাবে পুলিশকে সফল বা ব্যর্থ বললে চলবে না। এমন অনেক ঘটনা ঘটতে যাচ্ছিল যেগুলো আমরা প্রতিরোধ করেছি। এর আগে অনেককে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হয়েছে। পুলিশ তৎপর থাকার কারণে সেগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে।এদিকে দুর্বৃত্তদের কোপে আহত তিনজন এখনো ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তবে এদের মধ্যে তারিকের শারীরিক অবস্থা তুলনামূলক খারাপ হওয়ায় শনিবার অস্ত্রোপচারের পর থেকে এখনো তাকে পোস্ট অপারেটিভ কেয়ার ইউনিটে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।এবিষয়ে ঢামেকের পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, তারিকের শরীরের যেসব স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল সেসব স্থানে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। তবে তার বাম হাতের আঘাতটা অনেক বেশি। চিকিৎসকরা তার হাতটি রাখার চেষ্টা করছেন। তবে বাকিরা সুস্থ রয়েছেন।এদিকে তারিকের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপকদের সমন্বয়ে ৯ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে ঢামেক কর্তৃপক্ষ। এতে নিউরো সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এহসান মাহমুদকে প্রধান করা হয়েছে।চিকিৎসাধীন টুটুল ঢামেকের তিনতলার ৪৮ নম্বর কেবিনে এবং রনদীপন বসুকে ১৭ নম্বর কেবিনে রাখা হয়েছে। তারা আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন ঢামেকের পরিচালক।এআর/একে/বিএ

Advertisement