নারী ও শিশু

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান প্রতিমন্ত্রীর

করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের পাশে দাঁড়াতে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সচিবালয় থেকে কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েট লন্ডনের আয়োজনে ‘ভার্চুয়াল মিটিং অব কমনওয়েলথ মিনিস্টারস ফর উইমেনস অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অব কোভিড-১৯’ বিষয়ে কমনওয়েলথভুক্ত দেশের উইমেনস অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রীদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ভিডিও কনফারেন্সে প্রতিমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কমনওয়েলথ উইমেনস অ্যাফেয়ার্সের চেয়ারম্যান ও কেনিয়ার পাবলিক সার্ভিস, ইয়ুথ ও জেন্ডার বিষয়ক মন্ত্রী প্রফেসর মার্গারেট কবিয়া। স্বাগত বক্তব্য দেন বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী মিয়া মটেলি ও কমনওয়েলথ সেক্রেটারি জেনারেল প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড কিউসি। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারিতে বিশ্বব্যাপী নারীরা চাকরি হারিয়েছে, আয় কমে গেছে এবং একই সঙ্গে বৈষম্য, শোষণ ও সহিংসতার স্বীকার হচ্ছে। বহির্বিশ্বের প্রেক্ষাপটে বিপুল সংখ্যক নারী লকডাউন দোকান, মার্কেট, শপিংমল, পর্যটনকেন্দ্র, উৎপাদন ও সেবাখাত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চাকরিচ্যুত হয়েছে। করোনা পরিস্থিতে থেকে উত্তরণ, কর্মজীবী নারী, নারী উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের সহায়তা এবং নারীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার লক্ষ্যে জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ও কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

Advertisement

ফজিলাতুন নেসা বলেন, এ বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা সংকটে নারী ও শিশু স্বাস্থ্য বিষয়ে বিশেষভাবে অগ্রাধিকার দিয়ে দেশের মানুষের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার বিষয়ে দ্রুত কার্যকরী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের ডাক্তার, নার্স ও মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ৮০ ভাগ নারী, যারা অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্য দিয়ে করোনাকালে সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। বিদেশ থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ প্রবাসী বাংলাদেশি দেশে ফিরে এসেছে, যার ফলে তাদের পরিবারের নারী ও শিশু খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

ভার্চুয়াল সভায় কমনওয়েলথ সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, কমনওয়েলথভুক্ত দেশের নারীদের নেতৃত্ব, অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ ও জেন্ডার ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করে যেতে হবে।

সভায় জানানো হয়, করোনা মহামারিতে নারীর মৃত্যু কম হলেও নারীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষতির প্রভাব অনেক বেশি। নারীরা সম্মুখ যোদ্ধার ভূমিকায় ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী, সামাজিক স্বেচ্ছাসেবক, বিজ্ঞানী, উপার্জনকারী হিসেবে মহামারি মোকাবেলায় ও পরিবারের জীবিকা অর্জনে ভূমিকা রাখছে। তবে এই সময়ে নারীরা সহিংসতারও স্বীকার হচ্ছে। করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী ছোট ও মাঝারি আকারের উদ্যোক্তারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের উৎপাদিত পণ্যদ্রব্যের চাহিদা কমে গেছে, যা তাদের জীবন ও জীবিকার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

আরএমএম/এমএসএইচ/এমকেএইচ

Advertisement