দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম (৩৫) ও তার বাবা ওমর আলীকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় নৈশ্যপ্রহরী পলাশকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
Advertisement
দিনাজপুর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি ইমাম আবু জাফর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ইতোমধ্যে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ ও ইউএনওর আবাসিক ভবন পরিদর্শন করেছেন দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক, বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি, দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, র্যাব-১৩ প্রধানসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। তারা বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছেন।
জানা যায়, রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে একদল দুর্বৃত্ত উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তার আবাসিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় বাথরুমের ভেনটিলেটর দিয়ে ভেতরে ঢুকে ওয়াহিদা খানমকে কোপাতে শুরু করে। একপর্যায়ে হাতুড়ি দিয়েও তার মাথায় আঘাত করা হয়। এ সময় মেয়ের চিৎকারে তার সঙ্গে থাকা বাবা ছুটে এসে বাঁচানোর চেষ্টা করলে দুর্বৃত্তরা তাকেও মারধর করে।
Advertisement
পরে অন্য কোয়ার্টারের বাসিন্দারা টের পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। এ ঘটনার পর তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের রংপুরে পাঠানো হয়। এরপর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমকে রংপুর ডক্টরস ক্লিনিকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে বিকেল সোয়া ৩টার দিকে তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ জানিয়েছেন, ইউএনও’র মাথায় আঘাতের কারণে হাড় ভেঙে সেটা ব্রেনে ঢুকে গেছে। এক সাইড অবশ হয়ে আছে। আমরা অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এমদাদুল হক মিলন/এমএএস/এমকেএইচ
Advertisement