দেশজুড়ে

পরীক্ষামূলক ট্রানজিট সুবিধায় ভোডা ফোনের প্রথম চালান বেনাপোলে

ট্রানজিট সুবিধার আওতায় পরীক্ষামূলকভাবে ভারতের কলকাতা থেকে ভোডা ফোনের ইলেক্ট্রনিক্স সরঞ্জামের একটি চালান নিয়ে ভারতীয় একটি ট্রাক রোববার বিকেলে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বন্দরে এসেছে। এই ট্রাকটি সরাসরি আখাউড়া বন্দর দিয়ে ত্রিপুরার আগরতলার গোহাটিতে যাবে। সোমবার সকালে ট্রাকটি আখাউড়ায় পৌঁছাবে বলে আশা করছেন ট্রাকের সঙ্গে থাকা প্রতিনিধিদল। এটাই ট্রানজিট সুবিধার পরীক্ষামূলক প্রথম চালান বলে কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান। এই পণ্য চালানের সঙ্গে কলকাতার ডিএইচএল গ্লোবাল ফরওয়ার্ডিং কোম্পানির ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলও মাইক্রোবাসে যাবেন।কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, ভারতের ভোডা ফোনের ৭ প্যাকেজ ইলেক্ট্রনিক্স সরঞ্জাম ও বাটা সু কোম্পানির ১১৬ প্যাকেজ পণ্য নিয়ে ভারতীয় ট্রাকে করে (ডব্লিউবি-১১বি-৯৫১৯) সকালে কলকাতা থেকে ছেড়ে বেলা ৪টার দিকে বেনাপোল চেকপোস্টের নোম্যান্সল্যান্ডে আসে। এখানে বেনাপোল কাস্টমস হাউজের যুগ্ম কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান, সহকারী কমিশনার আব্দুল হক ও ভারতের কাস্টমস সুপারিনটেনডেন্ট (রফতানি) সুজিত সরকারের উপস্থিতিতে উভয় দেশের কাস্টমস কর্মকর্তারা কাগজপত্র দেখে পণ্য চালানটি পরীক্ষা করেন। এসময় কাস্টমস ছাড়াও বিজিবি ও পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কলকাতার ডিএইচএল গ্লোবাল ফরওয়ার্ডিং কোম্পানি নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই পণ্য চালানটি রফতানি ও পরিবহনের দায়িত্বে রয়েছেন। আর পণ্য চালানটি খালাসের দায়িত্বে আছেন লাকী ট্রেড সেন্টার নামের একটি সিএন্ডএফ এজেন্ট। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ট্রাকটি চেকপোস্ট হয়ে বেনাপোল বন্দর অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। ভারতীয় ওই ট্রাকে ২টি পণ্য চালান থাকলেও ভোডা ফোনের ৭ প্যাকেজের পণ্য চালানটি সরাসরি ট্রানজিট সুবিধা নিয়ে কুমিল্লার আখাউড়া শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতের আগরতলা হয়ে গোহাটিতে অবস্থিত ভোডা ফোনের অফিসে যাবে। আর বাটা সু কোম্পানির ১১৬ প্যাকেজ পণ্য বেনাপোল স্থলবন্দরের শেডে আনলোড করা হবে। এরপর এখান থেকে ভারতীয় ওই ট্রাকটি সিলগালা করে দিবে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। রাতেই আখাউড়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে বেনাপোল বন্দর থেকে। বেনাপোল চেকপোস্ট থেকে আখাউড়া চেকপোস্ট পর্যন্ত নিরাপদে যাতায়াতের জন্য হাইওয়ে ও জেলা পুলিশ নিরাপত্তায় থাকবে বলে জানান নাভারন হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাজেন্ট বুলবুল আহমেদ। বেনাপোল কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভারতীয় ওই ট্রাকে থাকা ২টি পণ্য চালানের মধ্যে ভোডা ফোনের চালানটি সরাসরি আখাউড়া দিয়ে ভারতের আগরতলায় যাবে। আর বাটা সু কোম্পানির পণ্য চালানটি ঢাকায় যাবে বিধায় বেনাপোল বন্দরে আনলোড হবে। পরে এটা শুল্কায়নের পর ছাড় দেওয়া হবে। তিনি আরো জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ট্রানজিট সুবিধার চালানটি আমরা কাগজপত্র ও পণ্য পরীক্ষণ করেই ট্রাকে সিলগালা করে ছাড় দিয়েছি। ভারতের বাংলাদেশের এ ট্রানজিট ব্যবহারে বাংলাদেশ সরকার রাজস্ব আদায়ে লাভবান হবে।জামাল হোসেন/এমএএস/আরআইপি

Advertisement