মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) লক্ষণ-উপসর্গ রয়েছে এমন ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকে তো ভাইরাসটি বহন করছেনই। লক্ষণ-উপসর্গ নেই এমন অনেকেও বহন করে চলছেন ভাইরাসটি। উপসর্গ আছে এমন ব্যক্তিদের মধ্যে ৩০ শতাংশ এবং উপসর্গ নেই এমন ব্যক্তিদের মধ্যে ৮ শতাংশের শরীরে রয়েছে করোনাভাইরাস।
Advertisement
স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সাম্প্রতিক এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। গত ১৩ আগস্ট স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জনসাস্থ্য) মোহাম্মদ মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত টাস্কফোর্স কমিটির সভায় জরিপটির ফলাফল নিয়ে আলোচনা হয়। গত ৩১ আগস্ট ওই সভার কার্যবিবরণী প্রকাশ হয়। সেই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
টাস্কফোর্স কমিটির সভায় আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়, দ্রুত এ ভাইরাস বহনকারীদের চিহ্নিত করে আইসোলেশনে রাখা না গেলে জ্যামিতিক হারে তা কমিউনিটিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
সভায় কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, তিনটি বিষয়ে টেকনিক্যাল কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন হয়নি। প্রথমত, করোনার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো। ২৪ ঘণ্টায় ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার নমুনা পরীক্ষা করা প্রয়োজন। কিন্তু নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ১৫ হাজারের নিচে নেমে এসেছে।
Advertisement
দ্বিতীয়ত, অ্যান্টিবডি ও অ্যান্টিজেন টেস্ট চালু করা এবং র্যাপিড টেস্ট কিট ব্যবহার করা। তৃতীয়ত, জেলা পর্যায়ে যেসব হাসপাতালে অক্সিজেন ছাড়া ব্যবস্থা নেই এবং ইতোমধ্যে কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়নি, সেসব হাসপাতালে মিনি অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য তালিকা প্রস্তুত করা ও অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করা। এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন প্রয়োজন।
এমইউ/এইচএ/এমকেএইচ