হেলিকপ্টারে সন্তান জন্ম দিয়েছেন এক শরণার্থী নারী। সম্প্রতি তার দেহে করোনার উপস্থিতি ধরা পড়েছে। ইতালির ল্যাম্পেডুসা দ্বীপ থেকে ওই নারীকে হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল। হাসপাতালে নেওয়ার পথে হেলিকপ্টারেই তার সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
Advertisement
ইতালি জানিয়েছে, চলতি বছর শরণার্থী স্রোত অনেক বেড়ে গেছে। জাতিসংঘের আহ্বানে সাড়া দিয়ে মঙ্গলবার একটি উদ্ধারকারী জাহাজকে সিসিলি দ্বীপে ৩৫৩ জন শরণার্থীকে নিরাপদে সরিয়ে আনার জন্য পাঠানো হয়।
এর আগে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই একটি উদ্ধারকারী নৌযান থেকে প্রায় ৪শ জন শরণার্থীকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু তাদের বিষয়ে তখনও কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় তারা অনেকটাই অনিশ্চিয়তার মধ্যে পড়েছিল।
পরবর্তীতে জাতিসংঘের আহ্বানে সাড়া দিয়ে একটি উদ্ধারকারী জাহাজ পাঠায় ইতালি। এদিকে, ২৭ জন শরণার্থীকে বহনকারী একটি ট্যাংকারও সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছে।
Advertisement
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রসব বেদনা ওঠার পর ওই নারীর দেহে করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। তিনি একটি শরণার্থী কেন্দ্রে ছিলেন। ওই কেন্দ্রে ধারণক্ষমতার ১০ গুণ বেশি শরণার্থী অবস্থান করছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা ওই নারীকে পালেরমোর একটি হাসপাতালে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যেন তিনি নিরাপদে সন্তান জন্ম দিতে পারেন। কিন্তু হাসপাতালে যাওয়ার পথে হেলিকপ্টারেই তার সন্তানের জন্ম হয়েছে।
ওই নারীর পরিচয় জানা যায়নি। তবে তিনি তার সন্তানসহ বর্তমানে পালেরমোর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে শরণার্থী ইস্যু নিয়ে সিসিলি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ইতালি সরকারের দ্বন্দ্ব চলছে।
সিসিলির গভর্নর নেলো মিউসুমেকি অভিযোগ তুলে বলেছেন, আফ্রিকা থেকে আসা শরণার্থী স্রোত মোকাবিলায় রোমের পক্ষ থেকে তাকে যথেষ্ঠ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে না।
Advertisement
চলতি বছর ইতালির উপকূলে প্রায় ১৯ হাজার ৪শ শরণার্থী পৌঁছেছে। গত বছর ওই একই সময়ে এই সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ২শ। এ বছর শরণার্থীর স্রোত আগের সময়ের চেয়ে অনেক বেশি।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, চলতি বছর ইউরোপে পৌঁছেছে ৪০ হাজারের বেশি শরণার্থী। আফ্রিকা থেকে ভূমধ্যসাগরে পাড়ি দিতে গিয়ে ৪৪৩ জন শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে বা নিখোঁজ হয়েছে।
টিটিএন/পিআর