করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের পূর্বাঞ্চলের হুবেই প্রদেশের উহানে দীর্ঘ ৮ মাস পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরল শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থী উহানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরেছে বলে দেশটির সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে।
Advertisement
চীনের রাষ্ট্রীয় দৈনিক গ্লোবাল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার উহানের ২ হাজার ৮৪২টি মাধ্যমিক ও প্রাইমারি স্কুল এবং কিন্ডারগার্টেন খুলে দেয়া হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থীকে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাগত জানানো হয়েছে।
এছাড়াও চলতি মাসে ধারাবাহিকভাবে উহানে ৮৩টি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য পুনরায় খুলে দেয়া হবে।
মহামারি করোনাভাইরাসে চীনে ৪ হাজার ৬৩৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে; যার প্রায় ৮০ শতাংশই উহানের। গত জানুয়ারি থেকে প্রায় ১১ সপ্তাহ ধরে লকডাউন কার্যকর ছিল এই শহরে।
Advertisement
গ্লোবাল টাইমস বলছে, প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া উহান ৭৬ দিনের নজিরবিহীন লকডাউনের মাধ্যমে মহামারি পুরোপুরি জয়ের বার্তা দিয়েছে বিশ্বকে। করোনার বিরুদ্ধে কঠোর লড়াইয়ে সেখানকার বাসিন্দাদের ব্যাপক ত্যাগের কারণে এই সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে।
করোনামুক্তির ঘোষণা দিলেও উহান এখনও নিরাপদ কিনা তা নিয়ে বিদেশি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। যদিও কয়েকদিন আগে উহানের একটি ওয়াটার পার্কে হাজার হাজার মানুষ মাস্ক ছাড়াই কনসার্টে অংশ নেন।
মহামারির ধকল সামলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে উহানের ওই পার্কে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পার্টি করেন তারা। ৭৬ দিনের লকডাউন শেষে গত জুনের দিকে ধারাবাহিকভাবে খুলতে শুরু করে উহান। মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে এখন পর্যন্ত উহানে স্থানীয়ভাবে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়নি।
গত বছরের ডিসেম্বরে উহানের একটি সামুদ্রিক খাবার বিক্রির বাজারে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। পরে এক কোটি ১০ লাখ মানুষের এই শহরের গণ্ডি পেরিয়ে করোনা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে ছড়িয়ে এই ভাইরাস এখন পর্যন্ত ৮ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে, বিশ্ব অর্থনীতিতে ফেলেছে মারাত্মক প্রভাব।
Advertisement
এসআইএস/পিআর