সর্বশেষ ১৯৮৫-৮৬ সালে রিচার্ড হ্যাডলির নৈপুণ্যে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয় করেছিল নিউজিল্যান্ড। এরপর সুযোগ পেয়েও সিরিজ জয় করে দেশে ফিরতে পারেনি কিউইরা। তবে ম্যাককালামের নেতৃত্বাধীন ব্ল্যাক ক্যাপসরা গত বছর থেকেই দারুণ ক্রিকেট খেলছে। তাই অভিজ্ঞ ক্রিকেতারদের হারিয়ে অপেক্ষাকৃত দুর্বল অস্ট্রেলিয়ার সামনে এবার ফর্মের তুঙ্গে থাকা নিউজিল্যান্ডের সামনে দারুণ সুযোগ রয়েছে ৩০ বছরের আক্ষেপ ঘুচানোর। একই সঙ্গে বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাজয়ের প্রতিশোধের একটা সুযোগও রয়েছে ব্ল্যাক ক্যাপসদের সামনে।তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পা রেখেছে ফর্মের তুঙ্গে থাকা নবরূপের নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল। গত বছর থেকে পারফরমেন্সের ঝলক দেখিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে বড় শক্তি হিসেবে নিজেদের ব্র্যান্ডকে প্রতিষ্ঠিত করে কিউইরা। তাই স্বাভাবিকভাবেই এবার তাদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। প্রথমবারের মতো আয়োজিত দিবা-রাত্রির টেস্ট জিতে ইতিহাস গড়তে চায় ব্রেন্ডন ম্যাককালামের দল। ইংল্যান্ড থেকে সর্বশেষ অ্যাশেজ সিরিজে ৩-২ ব্যবধানে হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। অপরদিকে ইংল্যান্ডের মাটিতে দারুন ক্রিকেট খেলে ১-১ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ ড্র করেছে নিউজিল্যান্ড। সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক, ওপেনিং ব্যাটসম্যান ক্রিস রজার্স এবং অলরাউন্ডার শেন ওয়াটসনসহ অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ায় অসি দলটি এখন তুলনামূলকভাবে অনেক দুর্বল। তাই নতুন অধিনায়ক স্মিথের নেতৃত্বাধীন দুর্বল দলের কাছ থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এবার ফেভারিট হিসাবেই খেলবে কিউইরা। এবারই প্রথম ক্রিকেটবিশ্ব দেখতে যাচ্ছে দিবা-রাত্রির টেস্ট ম্যাচ। যদিও অ্যাডিলেড ওভালে সিরিজের শেষ টেস্টে দিবা-রাত্রির ম্যাচে ব্যবহৃত হতে যাওয়া গোলাপি রংয়ের বলের স্থায়িত্ব নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। গোলাপি বলের স্থায়িত্ব নিয়ে ইতোমধ্যেই নিজেদের অসন্তোস প্রকাশ করেছেন কতিপয় খেলোয়াড়। নতুন এ বল ৮০ ওভারের বেশি খেলা যাবে না বলে তারা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।কিন্তু ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে গোলাপি বল পুরোপুরি প্রস্তুত। এ বলেই খেলা হবে এবং সুচি পরিবর্তনের সম্ভাবনার গুঞ্জনও প্রত্যাখ্যান করেছে। গোলাপি বল দিয়ে ম্যাচটি সফলভাবে শেষ করতে পারলে অন্যান্য দেশগুলোও মাঠে দর্শক টানতে দিবা-রাত্রির টেস্টের প্রতি আগ্রহী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।আরটি/একে/আরআইপি
Advertisement