রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে কর্মরত শতাধিক এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী সরকারি বৈশাখী ভাতার টাকা না দিয়ে তা নয়-ছয় করার অভিযোগ উঠেছে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। বৈশাখী ভাতার অর্থ কেটে রাখায় প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-কর্মচারীদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে। সরকারি বৈশাখী ভাতাসহ স্কুল ফান্ডের কোটি কোটি টাকা নয়-ছয় হওয়ার ঘটনা দ্রুত তদন্ত করে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষাসচিবের নিকট দাবি জানিয়েছে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অভিভাবক ফোরাম।
Advertisement
সোমবার (৩১ আগস্ট) ফোরামের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফাহিমউদ্দিন আহমদ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সওগাত-উল-আলম শওকত স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীরা নিয়মিত বেতন-ভাতা না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
‘এদের অনেকেই বাড়িভাড়া, সন্তানাদির ভরণপোষণ দিতে পারছেন না। অর্থকষ্টে দিন পার করছেন। এ বিষয়গুলো বিবেচনায় এনে লকডাউনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারিদের বৈশাখী ভাতার চেক দ্রুত ছাড় করা হয়। কিন্তু আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মতিঝিল, ঢাকার সভাপতির একগুঁয়েমি সিদ্ধান্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির এমপিওভুক্ত শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারীকে এখনো শিক্ষকদের বৈশাখী ভাতার সরকারি টাকা পরিশোধ করা হয়নি।’
অভিভাবক ফোরাম বলছে, শিক্ষকদের সরকারি টাকা কেটে রাখার ক্ষমতা সভাপতির নেই। এটা ক্ষমতার অপব্যবহার ও মারাত্মক অপরাধ। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। শিক্ষক-কর্মচারীদের অভিযোগ, সরকারি বৈশাখী ভাতাসহ স্কুল ফান্ডের কোটি কোটি টাকা নয়-ছয় হয়েছে।
Advertisement
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০১৮ সালে ভর্তি পরীক্ষার খাতায় ঘষামাজা ও নম্বর বাড়িয়ে দিয়ে ভর্তি বাণিজ্য করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সরকার কর্তৃক অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক আবদুস ছালাম খানের বিএড সনদ তদন্তে ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় দুজনেরই এমপিও স্থগিত করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়। কিন্তু বর্তমান সভাপতি (সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও) দুর্নীতিগ্রস্ত অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম ও সহকারী প্রধান শিক্ষক আ. ছালাম খানকে স্কুল ফান্ড থেকে বেতন-ভাতা দিয়ে দুর্নীতিকে উৎসাহিত করেছেন।’
এমএইচএম/এসআর