হজরত নুহ আলাইহিস সালাম ছিলেন পৃথিবীর প্রথম রাসুল। কাওমে নুহ যখন আল্লাহর চরম অবাধ্যতায় লিপ্ত হয়ে পড়লেন, এমনকি নুহ আলাইহিস সালামের পুত্র কিনান ও তাঁর অবাধ্যতা করছিলেন। আল্লাহ অবাধ্য জাতিকে মহাপ্লাবনের গজবে ধ্বংস করে দেয়ার মানসে নুহ আলাইসি সালামকে নৌকা তৈরি করতে নির্দেশ দিলেন। এবং তার আহাল-পরিজন ও অনুসারীদের হিফাজতের দায়িত্বও নিয়েছিলেন।
Advertisement
কুরআনে এসেছে, আর নূহ (আলাইহিস সালাম) তাঁর পালনকর্তাকে ডেকে বললেন- হে পরওয়ারদেগার! আমার পুত্র তো আমার পরিজনদের অন্তর্ভুক্ত; আর আপনার ওয়াদাও নিঃসন্দেহে সত্য আর আপনিই সর্বাপেক্ষা বিজ্ঞ ফয়সালাকারী। আল্লাহ বলেন, হে নূহ! নিশ্চয় সে আপনার পরিবারভুক্ত নয়। নিশ্চই সে দুরাচার! সুতরাং আমার কাছে এমন দরখাস্ত করবেন না, যার খবর আপনি জানেন না। আমি আপনাকে উপপদেশ দিচ্ছি যে, আপনি অজ্ঞদের দলভুক্ত হবেন না। (সুরা হূদ : আয়াত ৪৫-৪৬)
তখন হজরত নুহ আলাইসি সালাম নিন্মোক্ত দোয়া করেন যে, অসাবধানতায় যেন তিনি আল্লাহর অবাধ্যতায় লিপ্ত না হন। যার দৃষ্টান্ত সমগ্র জাতির জন্য আল্লাহ কুরআনে নিয়ে এসেছেন। সমগ্র মুসলিম উম্মাহর এ আয়াতটি আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থণার অন্যতম মাধ্যম।আল্লাহ বলেন-
رَبِّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ أَنْ أَسْئَلَكَ مَا لَيْسَ لِيْ بِهِ عُلْمٌ وَ إِلَّا تَغْفِرْلِيْ وَ تَرْحَمْنِيْ أَكُنْ مِنَ الْخَاسِرِيْنَ
Advertisement
উচ্চারণ : রাব্বি ইন্নি আ`উজুবিকা আন আসআলাকা মা লাইসা লি বিহি ইলমুও ওয়া ইল্লা তাগফিরলি ওয়া তারহামনি আকুম মিনাল খাসিরিন।
অর্থ : হে আমার পালনকর্তা আমার যা জানা নেই এমন কোনো দরখাস্ত করা হতে আমি আপনার কাছেই আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আপনি যদি আমাকে ক্ষমা না করেন, দয়া না করেন, তাহলে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হব। (সুরা হূদ : আয়াত ৪৭)হে আল্লাহ! আমাদেরকে অজানা ও অজ্ঞতা থেকে হিফাজত করুন। আপনার শিখানো ভাষায় আপনার কাছে যাবতীয় অজানা বিষয় থেকে হিফাজত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।
জাগো ইসলামে লেখা পাঠাতে ই-মেইল : jagoislam247@gmail.com
জাগোনিউজ২৪.কমের সঙ্গে থাকুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।
Advertisement
এমএমএস/আরআইপি