দেশজুড়ে

বৃদ্ধার হাত ভেঙে বাড়ি দখলে নিলেন কাউন্সিলর

পিরোজপুর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ আব্দুল হাই হাওলাদারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বাড়ি দখল ও এক বৃদ্ধাসহ কয়েকজনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগে মামলা হয়েছে। রোববার (৩০ আগস্ট) রাতে এমন অভিযোগে আব্দুল হাইকে ১নং আসামি করে ১৭ জনের নামসহ আরও অজ্ঞাত ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন বৃদ্ধার পুত্রবধূ মোসা. ইতি ইসলাম। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পিরোজপুর সার্জিকেয়ার ক্লিনিকের সামনে একটি বসতবাড়ির জাল দলিল করে দীর্ঘদিন দখলের পায়তারা করে আসছিলেন কাউন্সিলর আব্দুল হাই। এ সংক্রান্ত একটি মামলা পিরোজপুর দেওয়ানি আদালতে চলমান রয়েছে। মামলা নিষ্পত্তির আগেই রোববার সকালে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়িটিতে হামলা চালান কাউন্সিলর। এ সময় তারা বাড়ির বৃদ্ধ, শিশু ও নারীদের উপর নির্যাতন চালান।

Advertisement

বাড়ির মালিক মোসাম্মৎ ফাতেমা বেগম (৭০) এগিয়ে এলে কাউন্সিলর হাই ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা তাকে বেধড়ক মারধর করেন। মারধরের এক পর্যায়ে তাকে জিআই পাইপ দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করতে গেলে বাম হাত দিয়ে ঠেকানোর সময় হাতটি ভেঙে যায়। এ সময় বৃদ্ধাকে ফেলে রেখে তার ছেলের বউয়ের উপর নির্যতন চালায় সন্ত্রাসীরা।

এই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করতে গেলে বৃদ্ধার কলেজ পড়ুয়া নাতনির উপরও নির্যাতন চালায় এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় তারা। বাসার লোকজনকে রক্তাক্ত জখম করে বাসায় থাকা সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা মূল্যের মালামাল লুট করে এবং তিন চারটি দোকানঘর ভেঙে তারকাটা দিয়ে হাঁটার পথসহ জায়গাটি ঘিরে দেয়। এরপর কাউন্সিলর আব্দুল হাইয়ের নামে জায়গায় সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়। মামলার বাদী ইতি ইসলাম বলেন, মধ্যযুগীয় কায়দায় কাউন্সিলর হাই বিশাল এক সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হঠাৎ করেই অতর্কিত আমাদের উপর হামলা করে। আমার শাশুড়ির হাত ভেঙে দিয়েছে। আমার কোলে সন্তান থাকা সত্ত্বেও কোনো আকুতি শোনেনি। বাচ্চাটাকেসহ আমাকেও মেরেছে।

এ ব্যাপরে কাউন্সিলর আব্দুল হাই বলেন, আমার ক্রয়কৃত জায়গা তারা দখল করে রেখেছে। উদ্ধার করতে গেলে আমার লোকজনের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়েছে। তবে তাদের সব অভিযোগ সত্য নয়। পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম বাদল বলেন, সংবাদ পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে বাদীদের চলাচলের রাস্তা সচল করে দেয়া হয়েছে। গতকাল রাতে মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Advertisement

এফএ/এমকেএইচ