জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিব শতবর্ষ ২০২০ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লকের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে আজ সোমবার সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।
Advertisement
এ সময় বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়াসহ উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ কবি অধ্যাপক ডা. মো. হারিসুল হক। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ। দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন ডক্টরস হল জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. আইয়ুব আলী।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করেছিল এবং বিশ্বের শোষিত শ্রেণির বিপক্ষে যারা অবস্থান নিয়েছিল তারাই বঙ্গবন্ধুকে তার পরিবারের ১৮ জন সদস্যসহ নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তবে খুনিরা বঙ্গবন্ধুকে আমাদের মাঝ থেকে কেড়ে নিলেও তার জীবন ও আদর্শকে আামাদের হৃদয় থেকে মুছে ফেলতে পারেনি। জীবিত মুজিবের চাইতে মৃত মুজিব অনেক শক্তিশালী। তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুকে জানতে অবশ্যই বঙ্গবন্ধুর জীবনীর ওপর লেখাপড়া করতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতে বঙ্গবন্ধু কর্নার চালুর মাধ্যমে শিক্ষার্থীসহ সকলেই বঙ্গবন্ধুকে আরও জানার সুযোগ পাবে এবং তারা চাইলে বঙ্গবন্ধুর ওপর গবেষণা করারও সুযোগ পাবেন।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুই বাংলাদেশের ইতিহাস। বঙ্গবন্ধুকে জানতে পারলে বাংলাদেশের ইতিহাসকে জানা হয়ে যায়। এ কথা সত্য, বঙ্গবন্ধুর বিশালতা ধারণ করার ক্ষমতা আমাদের নেই। তবে বঙ্গবন্ধুর ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব কর্তব্য পালন করতে পারি ও করোনা মহামারির এই সময়ে সামর্থ্য অনুযায়ী যতটুকু পারি মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি এবং আমাদের সকলেরই তা করা উচিত।
Advertisement
এমইউ/এনএফ/পিআর