করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে একমাত্র ছেলের। কিন্তু মৃতদেহ সৎকার করার মতো সার্মথ্য নেই বৃদ্ধা মায়ের। এগিয়ে আসেনি গ্রামবাসীও। পরে অসহায় বৃদ্ধা মায়ের সহায় হলো পুলিশ।
Advertisement
রোববার রাত ৮টার দিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার শানবান্ধা গ্রামের লক্ষণ সরকার (৩৫) জেলা সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে বিকেলে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। মা-ছেলের সংসারে লক্ষণই ছিলেন একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাই ছেলের মৃত্যুর পর নির্বিকার হয়ে পড়েন লক্ষণের বৃদ্ধা মা। ছেলের লাশ সৎকার করার মতোও সামর্থ্য ছিল না তার। করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ায় পরিবার ও গ্রামবাসীও এগিয়ে আসেনি।
বিষয়টি জানতে পেরে মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীমের নির্দেশে অসহায় মায়ের পাশে দাঁড়ান পুলিশ সদস্যরা। তারা হিন্দু ধর্মীয় রীতিমতো মৃতের শেষকৃত্যের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করেন নিজ হাতে।
মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম জানান, ছেলের মৃত্যুর পর বৃদ্ধা মায়ের অসহায়ত্বের কথা জানতে পেরে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা, পৌরসভার কাউন্সিলর রতন মজুমদার ও সুভাষ সরকারকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ করি। তারা সদর থানার এসআই হারেস শিকদার ও এসআই মন্টু পালকে সঙ্গে নিয়ে রাতেই মৃত্যের সৎকার করেন। তার নির্দেশ মতো যারা এই সৎকার কাজে অংশ নিয়েছিলেন সবাইকে তিনি ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি মানবতার পাশে দাঁড়াতে পেরে তারও খুব ভালো লাগছে বলে জানান পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম।
Advertisement
এদিকে জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরশ্বাদ উল্লাহ জানান, লক্ষণ সরকার করোনায় মারা গেছেন কিনা তা নিশ্চিত হতে তার শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
বি.এম খোরশেদ/এফএ/পিআর