যশোরের বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনে তিন বাংলাদেশি যাত্রীর পাসপোর্ট আটকে রেখে অর্থ দাবির অভিযোগে জসিম উদ্দিন (৩৫) নামে পুলিশের এক কনস্টেবলকে ক্লোজড করা হয়েছে। রোববার বেলা ১১টায় তাকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন থেকে ক্লোজড করে যশোর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে ভারত থেকে দেশে ফেরেন খুলনার নাজমুল ইসলাম, রেয়াজুল করিম ও মাহামুদুল্লা নামে তিন ব্যক্তি। এসময় ইমিগ্রেশনে থাকা পুলিশ সদস্য জসিম উদ্দিন ওই যাত্রীদের জানান, একশ টাকা করে দিলে তাদের কাজ দ্রুত করে দেবেন। পরে তারা জসিমকে টাকা ও পাসপোর্ট দেন। কিছুক্ষণ পরে জসিম জানান, পাসপোর্ট তিনটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে যাত্রীরা বেনাপোল পোর্ট থানায় এ ঘটনায় একটি অভিযোগ করেন।গত ৩১ অক্টোবর সকালে পুলিশ সদস্য জসিম ওই যাত্রীদের ফোন করে জানান, তাদের পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। ১০ হাজার টাকা দিলে পাসপোর্ট ফেরত দেয়া হবে। পরে এক যাত্রী বেনাপোলে এসে ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করলে তিনি ওই পুলিশ সদস্যের কাছ থেকে পাসপোর্ট উদ্ধার করে ফেরত দেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। পরে রোববার বেলা ১১টার দিকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে জসিমকে ইমিগ্রেশন থেকে ক্লোজড করা হয়।বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কনস্টেবল জসিমের বিরুদ্ধে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন যাবৎ পুলিশ ইমিগ্রেশনের এক শ্রেণির কনস্টেবলরা পাসপোর্টযাত্রী ও চেকপোস্টের বিভিন্ন দোকানে আগত যাত্রীদের পাসপোর্টে ইমিগ্রেশনের সিল মেরে অর্থ নিয়ে থাকেন। বিষয়টি এখানে ওপেন সিক্রেট হলেও ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তাদের অদৃশ্য কারণে তাদের এ কাজ থেকে নিবৃত্ত করতে দেখা যায়নি। এর ফলে পুলিশের পাশাপাশি দালালের উৎপাত বেড়ে গেছে। মো. জামাল হোসেন/এমজেড/আরআইপি
Advertisement