রাজনীতি

পাবনা-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন চান দুই হাবিব

পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেতে আবেদনপত্র সংগ্রহ করেছেন দু’জন। তারা হলেন- পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব ও পাবনার শ্রমিক দলের নেতা মো. আহসান হাবিব।

Advertisement

রোববার (৩০ আগস্ট) সকালে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাবনা-৪ আসনের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়। ফরমের মূল্য ধরা হয়েছে ১০ হাজার টাকা।

সোমবার (৩১ আগস্ট) দুপুর ২টার মধ্যে মনোনয়প্রত্যাশীদের ২৫ হাজার জামানতসহ পূরণকৃত ফরম জমা দিতে হবে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দফতরে।

এ দিন বিকেলে হাবিবুর রহমান হাবিব দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী কাছ থেকে ফরম সংগ্রহ করেন।

Advertisement

রিজভী জানান, রোববার বিকাল ৫টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে পাবনা-৪ আসনের প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার হবে।

রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা জানেন, আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য যেমন আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে আছি। এই নির্বাচনের পরিণতি কী হয় জেনেও গণতন্ত্র প্রসারণের জন্য আমার নির্বাচন অংশগ্রহণ করেছি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা জানি, নির্বাচন, নির্বাচন কমিশন ও ভোট- এটির যে একটা সুষ্ঠু ব্যবস্থা সেটা সরকার ভেঙে ফেলেছে। এগুলো যাতে ফিরিয়ে নিয়ে আসা যায়, আবার যাতে সুষ্ঠু নির্বাচন করা যায়, আবার সুষ্ঠু ভোট যাতে দেশে হয় সেটারই অংশ হিসেবে, আন্দোলনের অংশ হিসেবে এই উপনির্বাচনে আমরা অংশ নিচ্ছি।’

বিএনপির এই শীর্ষনেতা আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার মধ্য দিয়েই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার যে আন্দোলন সেটি নিশ্চিত হবে। বিরোধীদলের জন্য যেখানে কর্তৃত্ববাদী ও অগণতান্ত্রিক শাসন থাকে, সেখান থেকে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য নির্বাচন এবং রাজপথ দুটোরই প্রয়োজন। আমরা এ দুটি পথই অবলম্বন করছি। এই অবলম্বনের মধ্য দিয়েই একদিন কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন ঘটবে। এখন যে জিনিসগুলো হারিয়ে গেছে সুষ্ঠু নির্বাচন, কথা বলার স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সেগুলোকে ফিরিয়ে আনার ঐতিহ্য সৃষ্টি হবে। গণতন্ত্র ফিরে আসবে সেই লক্ষ্যেই বিএনপি এই সমস্ত উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে।’

Advertisement

হাবিবুর রহমান হাবিব আশাবাদ ব্যক্ত করেন, পাবনা-৪ উপনির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হলে ধানের শীষ প্রতীক বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

গত ২ এপ্রিল সংসদ সদস্য শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর মৃত্যুতে এই আসনটি শূন্য হয়।

কেএইচ/এফআর/এমএস