ইয়েমেনে চলমান সামরিক হামলায় সৌদি আরব আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ অস্ত্র ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছে মানবাধিকার কর্মীরা। ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে চলতি বছরের ২৬ মার্চ থেকে হামলা শুরু করে সৌদি আরব। এরপর থেকেই এসব অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে বলে দেশটির মানবাধিকার কর্মীরা জানিয়েছেন। খবর প্রেস টিভির।সানায় এক সংবাদ সম্মেলনে মানবাধিকার কর্মীরা বলেন, সৌদি আরব ফসফরাস এবং গুচ্ছ বোমার মতো নিষিদ্ধ অস্ত্র বিমান হামলায় ব্যবহার করছে। মানবাধিকার কর্মী হাশিম সারাফ আল-দিন বলেন, ইয়েমেনের ব্যাপক এলাকা জুড়ে গুচ্ছ বোমা ফেলছে সৌদি আরব। বেসামরিক মানুষের জানমালের ওপর এ বোমার দীর্ঘ নারকীয় প্রভাব পড়বে বলে তিনি মন্তব্য করেন।ইয়েমেনের সানা, মারিব, সাদা এবং হুদাইদাহ প্রদেশের ঘনবসতি এলাকাগুলোতে এসব নিষিদ্ধ বোমা বেশিমাত্রায় ফেলা হচ্ছে। সৌদি বিমান হামলায় বন্দর হুদাইদাহ নগরীতে আহত এক ইয়েমেনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইলের বোমা দিয়ে ইয়েমেনের নাগরিকদের হত্যা করছে রিয়াদ। কিন্তু জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এ সময়ে নীরব ভূমিকা পালন করছে এবং এগিয়ে আসছে না।এর আগে গত আগস্টে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ অবিলম্বে গুচ্ছ বোমা ব্যবহার বন্ধের জন্য সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল। একইসঙ্গে এ বোমা ব্যবহার বন্ধের চুক্তিতে যোগ দিতেও আহ্বান জানানো হয় সৌদি আরবকে।গত ২৬ মার্চ থেকে ইয়েমেনের নির্বাসিত প্রেসিডেন্ট আবদ রাব্বু মনসুর আল হাদিকে ক্ষমতায় বসানোর লক্ষ্যে ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা শুরু করে সৌদি নেতৃত্বাধীন আরব জোট। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সৌদি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৭ হাজার লোকের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরো অন্তত ১৪ হাজার মানুষ। এসআইএস/আরআইপি
Advertisement