বর্তমান বাজারে তীব্র প্রতিযোগিতা গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর। কে কত উন্নত গাড়ি বাজারে নিয়ে আসতে পারে, স্পিড কেমন হবে, ডিজাইনটা আকর্ষণীয় কি-না, ব্যাটারি কতটা উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন, মূল্য-এসব নিয়ে যত মাথাব্যথা। এবার সেদান, এসইউভির (স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল) সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নতুন মডেলের ইলেকট্রিক কার নিয়ে এলো জাপানি গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হোন্ডা মোটরস কোম্পানি লিমিটেড।
Advertisement
বেশিরভাগ ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যাটারি উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন। কোনো কোনো গাড়ির ব্যাটারি একবার চার্জ দিলে ওই চার্জে ৫৭০ কিলোমিটার চলতে পারে। সেখানে হোন্ডার নতুন মডেলের গাড়িটির ব্যাটারি ছোট এবং প্রতিবার চার্জে মাত্র ২৮০ কিলোমিটার চলবে। অর্থাৎ ব্যাটারির কার্যক্ষমতার দিক থেকে টেসলার মডেল থ্রি গাড়ির অর্ধেক হোন্ডার নতুন মডেল ‘হোন্ডা ই’।
মূলত শহর এলাকায় চলাচলের উপযোগী করে নতুন মডেলের গাড়িটি তৈরি করেছে হোন্ডা। এ বিষয়ে হোন্ডার প্রধান প্রকৌশলী তোমোফুমি আইচিনোজ বলেছেন, ‘বেশির ভাগ ইলেকট্রিক গাড়িগুলোতে উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়, তবে গাড়ি চালানোর সময় ব্যাটারির বিরাট একটা অংশের কার্যকারিতা অব্যবহৃত থেকে যায়। আমরা ভেবে দেখলাম, শহরাঞ্চলে আসলেই এ ধরনের বড় গাড়ির দরকার পড়ে কি-না। আমাদের কাছে মনে হয়েছে, শহরাঞ্চলের জন্য ছোট গাড়িই অপেক্ষাকৃত একটা ভালো বিকল্প।’
গাড়িটি সম্পর্কে হোন্ডার প্রধান প্রকৌশলী আরও বলেন, ‘সংকীর্ণ রাস্তাতেও খুব সহজেই ইউটার্ন নিতে পারবে হোন্ডা ই। পার্কিংয়ের সময় ঝাঁকুনি ও ঘর্ষণ লেগে যাতে নষ্ট না হয়ে যায় সেজন্য সাইড মিররের পরিবর্তে ইন্টেরিয়র ডিসপ্লের ব্যবস্থা রয়েছে এতে।’
Advertisement
চলতি মাসের শুরুর দিকে ইউরোপের বাজারে এসেছে ‘হোন্ডা ই’। এবং নতুন মডেলের এই ইলেকট্রিক গাড়িটির বেচাবিক্রি কেবল ইউরোপ ও জাপানেই সীমাবদ্ধ থাকবে বলে গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
কত দাম পড়বে নতুন মডেলের ইলেকট্রিক গাড়িটির? এ বিষয়ে হোন্ডা বলছে, ৩৩ হাজার ইউরো বা ৩৯ হাজার মার্কিন ডলার দাম পড়তে পারে গাড়িটির। অর্থাৎ গাড়িটি কিনতে হলে বাংলাদেশি মুদ্রা গুনতে হবে ৩৩ লাখ টাকা।
এসআর/জেআইএম
Advertisement