‘পিপিপি নয়, ব্যক্তি মালিকদের হাতেই তুলে দেয়া হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোকে। বিএনপি-জামাত জোট সরকার যা করতে পারেনি এই আমলে সেটাই হতে চলেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক এখন কর্মহীন। গোল্ডেন হ্যান্ডসেকের টাকা তারা কবে পাবে? কত পাবে জানে না’।
Advertisement
‘তাছাড়া করোনাভাইরাসকালে ওই টাকা দিয়ে নতুন কোনো কর্ম উদ্যোগও সৃষ্টি করা যাবে না। বন্ধ করে দেয়া পাটকলগুলোকে রাষ্ট্রায়ত্ত খাতে রেখেই তাকে আধুনিকায়ন করতে হবে। তাহলেই সোনালী আঁশ সোনা ফলাবে। গলার ফাঁস হবে না’।
২৮ আগস্ট বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির বরিশাল জেলা কমিটির ভার্চুয়াল সভায় পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি এসব বলেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ করে দিয়ে কেবল পাটশিল্প বা শিল্প শ্রমিকই নয়, পাটচাষ ও পাটচাষীদের ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে। অথচ পাটই একশভাগ মূল্য সংযোজনকারী পণ্য এবং পরি। তিনি পাটশিল্প রক্ষায় পাটচাষী, শ্রমিক, ব্যবসায়ীসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
বরিশাল জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি অধ্যাপক নজরুল হক নীলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় পাটশিল্প রক্ষা, স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা বন্ধ, করোনারোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ ১৩ দফা দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত ২ সেপ্টেম্বর কর্মসূচি পালনে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ওইদিন বরিশাল জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি উদ্যোগে বেলা ১১টায় অশ্বিনীকুমার হল চত্বরে কর্মসূচি পালিত হবে।
Advertisement
বৈঠকে জোয়ারের পানিতে বরিশালের বিস্তৃর্ণ অঞ্চল ডুবে যাওয়া ও অব্যাহত নদী ভাঙনে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় এবং এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানানো হয়।
সভায় অপর এক প্রস্তাবে করোনা সংক্রমণ রোধে মাস্ক পরতে জনগণকে উৎসাহিত করতে পার্টির পক্ষ থেকে মাস্ক বিতরণ ও এ বিষয়ে প্রচার অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়।
জেলায় করোনাকালীন কার্যবিবরণী তুলে ধরেন বরিশাল জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট টিপু সুলতান, আলোচনায় অংশ নেন তালুকদার মো. শাহজাহান, মোজাম্মেল হক ফিরোজ, ফারহান বালি, অধ্যাপক গোলাম হোসেন, দিলীপ রাজা প্রমুখ।
এফএইচএস/এমআরএম/জেআইএম
Advertisement