জাতীয়

করোনার সংক্রমণ কমলেও বেড়েছে মৃত্যুর হার

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমেছে। গত কয়েকদিন নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীসহ সারাদেশের ৯১টি করোনা শনাক্তকরণ আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে ১৩ হাজার ৯৭৭ টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৩ হাজার ৭৪১ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও দুই হাজার ২১১ জন। শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ০৯ শতাংশ। মাত্র এক সপ্তাহ আগেও নমুন শনাক্তের হার ছিল ২০ শতাংশের বেশি।

Advertisement

রোগতত্ত্ববিদরা বলছেন, টানা আরও দু-এক সপ্তাহ শনাক্তের হার কম থাকলেও এ হার পাঁচ শতাংশের মধ্যে এলে দেশে করোনা নিয়ন্ত্রিত হয়েছে বলে বলা যাবে। তবে আবার বৃদ্ধি পেলে সাময়িকভাবে তা কমেছিল বলে মনে করতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিফতরের দেয়া তথ্য বলছে, নতুন রোগী শনাক্তের হার কমলেও মৃত্যুহার বেড়েছে। গত কয়েকদিন ধরে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৭ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩২ জন ও মহিলা ১৫ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে চার হাজার ১৭৪ জনে। তাদের মধ্যে পুরুষ তিন হাজার ২৭৪ জন (৭৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ) এবং নারী ৯০০ জন (২১ দশমিক ৫৬ শতাংশ)।

গত কয়েকদিন শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার বেড়েই চলেছে। সপ্তাহখানেক আগেও শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার ১ দশমিক ২৮ থেকে ১ দশমিক ৩১ এর মধ্যে থাকলেও গত ২৪ ঘণ্টায় এর হার বৃদ্ধি পেয়ে ১ দশমিক ৩৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

Advertisement

আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন অপেক্ষাকৃত বয়স্করা, বিশেষ করে ৬০ বছর বয়স যাদের তারা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট মৃত ৪৭ জনের মধ্যে বয়স্কদের সংখ্যা ২৬ জন। মৃত চার হাজার ১৭৪ জনের মধ্যে দুই হাজার ৫৪ জন অর্থাৎ ৪৯ দশমিক ২১ শতাংশের বয়স ৬০ বছরের বেশি।

করোনার পাশাপাশি ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য অসংক্রামক রোগজনিত রোগের কারণে মৃত্যুহার ষাটোর্ধ্বদের বেশি হচ্ছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য ও রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা।

তবে মৃত্যুহার বাড়লেও ক্রমেই বাড়ছে সুস্থ রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও তিন হাজার ৩৭৮ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৬৪ দশমিক ১৬শতাংশ। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৯৬ হাজার ৮৩৬ জন।

এমইউ/এসআর/জেআইএম

Advertisement