ভারতে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা আবারও ঊর্ধ্বমুখী। শুক্রবার দেশটিতে সর্বোচ্চ সংক্রমণ হয়েছে।
Advertisement
সপ্তাহ দুয়েক ৬০ হাজারের ঘরে ঘোরাফেরা করার পর বৃহস্পতিবার নতুন সংক্রমণ বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৭৫ হাজারে। শুক্রবার (২৮ আগস্ট) তা হয়েছে ৭৭ হাজার। এই বৃদ্ধি এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ৭৭ হাজার ২৬৬ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ভারতে এক দিনে এত সংখ্যক মানুষ এর আগে আক্রান্ত হননি। এ নিয়ে ভারতে মোট আক্রান্ত হলেন ৩৩ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ জন। ওই সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৪৪ হাজার ৪৫১ ও ৪৪ হাজার ২৩৫ জন। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের তুলনায় ভারতে রোজ বেশি লোক নতুন করে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। এই ধারা গত ১০ দিন ধরেই অব্যাহত রয়েছে। প্রথম স্থানে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে মোট করোনা আক্রান্ত ৫৮ লাখ ৬৬ হাজার ও দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে ৩৭ লাখ ৬১ হাজার।
ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ হার ৮.৫৭ শতাংশ। পরীক্ষা হয়েছে ৯ লাখ এক হাজার ৩৩৮ জনের। যা গত কালের থেকে ২৩ হাজার কম।
Advertisement
এদিকে, আক্রান্তের সংখ্যা যেমন প্রতিদিন বাড়ছে, তেমনই প্রচুর মানুষ সুস্থও হয়ে উঠছেন। এখনও পর্যন্ত মোট ২৫ লাখ ৮৩ হাজার ৯৪৮ রোগী করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। অর্থাৎ দেশে মোট আক্রান্তের তিন চতুর্থাংশেরও বেশি সুস্থ হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬০ হাজার ১৭৭ জন।
স্পেন, ফ্রান্স, ইতালি, ব্রিটেনের মতো দেশকে পিছনে ফেলে করোনায় মৃত্যুর নিরিখে বিশ্বের চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারত। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের তুলনায় ভারতে মোট মৃত্যু অনেক কম। পাশাপাশি ওইসব দেশের তুলনায় ভারতে মৃত্যুও অনেকটাই কম।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৫৭ জনের। এ নিয়ে দেশটিতে মোট ৬১ হাজার ৫২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই মারা গেছে ২৩ হাজার ৪৪৪ জন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা তামিলনাড়ুতে মারা গেছেন ছয় হাজার ৯৪৮ জন। তৃতীয় কর্নাটকে মৃতের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে। তবে দিল্লিতে মারা গেছেন চার হাজার ৩৬৯ জন। এছাড়া অন্ধ্রপ্রদেশে (৩৬৩৩), উত্তরপ্রদেশে (৩২১৭), পশ্চিমবঙ্গে (৩০১৭), গুজরাটে (২৯৬২) জনের মৃত্যু হয়েছে।
এএইচ/এমএস
Advertisement