মতামত

চীনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উন্নতি এবং বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আবেদন

 

আমার ভাগনি মীম চিনান বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাক্তারি পড়ে। চীনের কুয়াংতুং প্রদেশের রাজধানী কুয়াংচৌ শহরে বিশ্ববিদ্যালয়টির সুন্দর ও বিশাল ক্যাম্পাস। অন্তত একবার আমি চীনের এই প্রদেশটি সফর করেছি। তবে, কুয়াংচৌ যাওয়া হয়নি; আমি গিয়েছিলাম প্রদেশটির আরেকটি বড় শহর শেনচেন হয়ে তুলনামূলকভাবে ছোট্ট শহর তুংকুয়ান। সেই সফর ছিল অফিসিয়াল। ‘কুয়াংতুং একবিংশ শতাব্দীর সামুদ্রিক রেশমপথ এক্সপো, ২০১৭’ কাভার করা ছিল আমাদের অফিসের টিমের কাজ। মনে আছে, মেলায় বাংলাদেশের ১৪টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছিলেন। বেইজিং থেকে সরাসরি প্লেনে শেনচেন। তারপর শেনচেনের ভিতর দিয়ে সোজা তুংকুয়ান। শেনচেনের সুন্দর ও আধুনিক বিমানবন্দর ও শহরের খানিকটা সে যাত্রায় দেখা হয়েছিল। কিন্তু কুয়াংচৌ যাওয়া হয়নি। ইচ্ছে আছে, কুয়াংচৌ বেড়াতে যাওয়ার, বিশেষ করে চিনান বিশ্ববিদ্যালয় দেখার। ভাগনির কাছে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের সুন্দর ক্যাম্পাসের অনেক গল্প শুনেছি, তার পাঠানো ছবিও দেখেছি। একটি ছবি আমরা চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি)-র চীন আন্তর্জাতিক বেতারের ফেসবুক পেজে একবার পোস্ট করেছিলাম, মীম মানে আলোকচিত্রীর নামসহ। আমাদের দর্শক-শ্রোতারা ছবিটি বেশ পছন্দ করেছিলেন।

Advertisement

বন্ধু-কন্যা ঊর্মি। সে পড়ে চীনের হ্যনান প্রদেশের চ্যংচৌ বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার বিষয় ফার্মাসি। বন্ধু আশরাফের এই একটিই সন্তান। মেয়েকে বিদেশে পাঠানোর আগে তাকে দশবার ভাবতে হয়েছে। আমার পরামর্শ চেয়েছিল আশরাফ। মনে আছে তাকে বলেছিলাম: ‘চীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে মেয়ের নিরাপত্তা নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবে না। নিশ্চিন্তে পাঠাতে পারো।’ মেয়েও সাহসী। স্কলারশিপ নিয়ে হুট করে একদিন চলেও আসে চীনে। সে প্রায় তিন বছর আগের কথা। আমার সঙ্গে সে উইচ্যাটে সংযুক্ত আছে। কিন্তু পাসপোর্ট রিনিউ করার সময়ই শুধু মেয়েটা আমার সাহায্য চেয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে বসেই ডাকযোগে তার পাসপোর্ট রিনিউ হয়েছে। তাকে বেইজিং আসতে হয়নি। এই একটা সমস্যা ছাড়া তাকে আর কোনো ব্যাপারে কমপ্লেইন করতে শুনিনি। সবকিছু ভালোভাবেই এগুচ্ছিল গত তিন বছর ধরে।

মীম ও ঊর্মি- দুজনই এখন বাংলাদেশে। উহানে যখন প্রথম মহামারি দেখা দেয়, তখন বিশেষ বিমানে করে চীন থেকে ৩১২ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে ঢাকায় ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। মীম ও ঊর্মি তাদের মধ্যে ছিল না। ওরা সাহস করে থেকে গিয়েছিল চীনেই, নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরে যখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মহামারির কারণে বন্ধ হয়ে গেল, তখন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে তারা বাংলাদেশে ফিরে যায়। আশা ছিল, গরমের ছুটির পর মহামারি পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলে আবারও ফেরা হবে প্রিয় ক্যাম্পাসে। কিন্তু বিধি বাম! চীনে দ্রুত পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলেও, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বহু দেশে মহামারি পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটতে লাগলো। চীনে স্থানীয়ভাবে আক্রান্তের সংখ্যা শুন্যের কোঠায় নেমে গেলেও, বিদেশ থেকে আসা করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়তে লাগলো। একসময় চীন সরকার বাধ্য হয়ে বিদেশিদের চীনে প্রবেশের ওপর, কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া, সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ে যায় মীম ও ঊর্মিসহ ৩ সহস্রাধিক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, যারা চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে আসছে।

এই বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা একটা গোটা সেমিস্টার অনলাইনে ক্লাস করেছে, পরীক্ষা দিয়েছে। কিন্তু অনলাইন-শিক্ষা শ্রেণিকক্ষের শিক্ষার বিকল্প হতে পারে না। বিশেষ করে, মীমের মতো যারা ডাক্তারি পড়ছে, তাদের ব্যবহারিক ক্লাস অনলাইনে হওয়া প্রায় অসম্ভব। যতদূর জানি, ঊর্মির ফার্মাসিতেও ব্যবহারিক ক্লাস আছে। মোদ্দাকথা, এই তিন হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন বলতে গেলে থমকে গেছে। তারা উদ্বিগ্ন তাদের লেখাপড়া নিয়ে, ক্যারিয়ার নিয়ে। এ কথা সত্য যে, চীনা শিক্ষার্থীদের অবস্থাও কমবেশি একইরকম। আমার ছেলেটাও ঘরে বসে আছে। গোটা একটা সেমিস্টার কেটেছে অনলাইনে ক্লাস করে। কিন্তু তাদের জন্য আগামী সেপ্টেম্বরে শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নতুন সেমিস্টারের জন্য প্রস্তুত। আমার ছেলের মতো সকল চীনা শিক্ষার্থী খুশি। তারা আবার শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাবে। কিন্তু মীম-ঊর্মিরা জানে না, তারা কবে নাগাদ তাদের নিজ নিজ ক্যাম্পাসে ফিরতে পারবে।

Advertisement

স্বাভাবিকভাবে তিন হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী উদ্বিগ্ন। তারা সম্প্রতি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বরাবর একটি আবেদনপত্র পেশ করেছে। চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় তথা সরকারের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে, প্রয়োজনে বিশেষ ব্যবস্থাধীনে, তারা দ্রুত চীনে নিজ নিজ ক্যাম্পাসে ফিরতে চায়। তারা চায় সেপ্টেম্বরে শুরু-হতে-যাওয়া নতুন সেমিস্টারে শ্রেণিকক্ষে সশরীরে উপস্থিত থাকতে। চিঠিটি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গৃহীত হয়েছে ২৫ অগাস্ট। চিঠির একটি ছবি চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইচ্যাটে বাংলাদেশিদের একটি গ্রুপে শেয়ার করা হয়েছে। আমি সেই গ্রুপের একজন সদস্য হিসেবে সেটি দেখেছি।

চিঠিতে ফুটে ওঠা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আকুতি যে-কাউকে নাড়া দেবে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও চিঠিটিকে সিরিয়াসলি নেবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আলোচনার মাধ্যমে এই বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য নিজ নিজ ক্যাম্পাসে ফেরার সুযোগ সৃষ্টি করা অসম্ভব হবার কথা নয়। চীন সরকার বরাবরই শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের ওপর গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বিদেশি শিক্ষার্থীরা এর বাইরে নয়। তবে, এ কথা ঠিক যে, মহামারির শুরু থেকেই চীন সরকার মানুষের জীবন বাঁচানোর ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে আসছে। তাই, মহামারি নিয়ন্ত্রণকাজ এদেশে পাচ্ছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। এ বাস্তবতাকেও মাথায় রাখতে হবে। মহামারির পুনরাবির্ভাব ঠেকাতে চীন সরকার সম্ভাব্য সবকিছু করেছে ও ভবিষ্যতেও করবে।

বাংলাদেশের শিক্ষা উপমন্ত্রী বরাবর পেশকৃত চিঠি অনুসারে, চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যয়নরত কমবেশি তিন হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিজ দেশে ‘আটকা’ পড়েছে। আর চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট অনুসারে, দেশটিতে ২০১৮ সালে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৪৯২,১৮৫ জন, যারা এসেছে ১৯৬টি দেশ বা অঞ্চল থেকে। এ সংখ্যা ছিল আগের বছরের চেয়ে ৩০১৩ জন বেশি। আর ২০১৮ সালে চীনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০,৭৩৫ জন। ২০২০ সালে এসে এই সংখ্যা অনেক বেড়েছে, যা সহজেই অনুমান করা যায়।

এই সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে ও ভবিষ্যতেও বাড়বে। এর কারণ, চীনে শিক্ষার মান ক্রমশ উন্নত থেকে উন্নততর হচ্ছে। তাই বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় দু’শ দেশ থেকে স্কলারশিপ নিয়ে যেমন ছেলেমেয়েরা চীনে পড়তে আসছেন, তেমনি নিজ খরচেও অসংখ্য শিক্ষার্থী পড়ছেন। চীনের শিক্ষার মান যে বেড়েছে ও বাড়ছে, নিজ খরচে পড়তে আসা বিদেশি শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতিও তা প্রমাণ করে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিশ্ব র্যাংকিংয়ের দিকে তাকালেও আমরা দেখবো, চীনের শিক্ষার মান দ্রুত উন্নত হচ্ছে। গত ১৫ অগাস্ট শাংহাই র্যাংকিং কনসাল্টেন্সি প্রকাশ করেছে ‘একাডেমিক র্যাংকিং অব ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিজ, ২০২০’ রিপোর্ট। এটি সংস্থার অষ্টাদশ বার্ষিক রিপোর্ট। সংস্থার রিপোর্ট বিশ্বব্যাপীই সমাদৃত। উদাহরণস্বরূপ, ইউরোপীয় ইউনিয়নে ২০১৮ সালের বিজ্ঞান, গবেষণা ও ইনোভেশান পারফরমেন্সসংক্রান্ত ইউরোপীয় কমিশনের রিপোর্টে শাংহাই র্যাংকিং কনসাল্টেন্সির রিপোর্টের বরাত দেওয়া হয়েছে। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনিভার্সিটি তাদের ২০১৪-১৪ স্টকটেইক রিপোর্টেও এ সংস্থার উপস্থাপিত তথ্য-উপাত্ত প্রমাণস্বরূপ ব্যবহার করেছে।

Advertisement

যাই হোক, শাংহাই র্যাংকিং কনসাল্টেন্সির করা ২০২০ সালের র্যাংকিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ও স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি আছে যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে। তৃতীয় স্থানে আছে যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি। হার্ভার্ড বিগত ১৮ বছর ধরেই র্যাংকিংয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, র্যাংকিংয়ে বিশ্বের শীর্ষ ১০০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চীনের মূল ভূভাগের আছে মোট ১৪৪টি, আগের বছরের চেয়ে যা ৪০টি বেশি। আবার র্যাংকিংয়ে প্রথম ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চীনের মূল ভূভাগের আছে ৬টি। এগুলোর মধ্যে সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় জাপানের কিওটো বিশ্ববিদ্যালয়কে পেছনে ফেলে এবার উঠে এসেছে ২৯তম স্থানে। এশিয়ায় এখন সেকেন্ড-বেস্ট বিশ্ববিদ্যালয় সিংহুয়া। এশিয়ার বেস্ট ইউনিভার্সিটি হচ্ছে ইউনিভার্সিটি অব টোকিও। চীনের মূল ভূভাগের বাইরে, হংকং, ম্যাকাও, ও তাইওয়ানের ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ও শীর্ষ ১০০০-এ স্থান পেয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১০টি আছে শীর্ষ ৫০০-এ।

শীর্ষ ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আছে চীনের পিকিং ইউনিভার্সিটি, চ্যচিয়াং ইউনিভার্সিটি, ও শাংহাই চিয়াও থং ইউনিভার্সিটিও। এবার নতুন করে দু’টি চীনা বিশ্ববিদ্যালয় শীর্ষ ১০০-তে স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে ফুতান ইউনিভার্সিটি আছে ১০০তম স্থানে এবং চীনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আগের বছরের ১৫০তম স্থান থেকে উঠে এসেছে ৭৩তম স্থানে। বলে রাখি, সংস্থাটি বিশ্ব র্যাংকিং তৈরির সময় চারটি মূল বিষয় বিবেচনায় রাখে: শিক্ষার মান, শিক্ষকদের মান, গবেষণার ফল, ও মাথাপিছু পারফরমেন্স।

২০০৩ সালে শাংহাই র্যাংকিং কনসাল্টেন্সি তাদের প্রথম র্যাংকিং প্রকাশ করেছিল। তখন মাত্র ৯টি চীনা বিশ্ববিদ্যালয় শীর্ষ ৫০০-এ স্থান পেয়েছিল। তখন শীর্ষ ২০০-এ কোনো চীনা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। সংস্থার রিপোর্ট অনুসারে, বিগত ১৮ বছরে চীনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সার্বিক পারফরমেন্স ও বিশ্বে তাদের প্রভাব উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বস্তুত, এটা শুধু শাংহাই র্যাংকিং কনসাল্টেন্সির বিচারেই সত্য, তা নয়; বিশ্বের অন্যান্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত র্যাংকিংয়ের দিকে তাকালেও আমরা এ সত্য বুঝতে পারি। কিউআর ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিংয়ের কথা ধরা যাক। এ সংস্থার চলতি বছরের র্যাংকিংয়ে চীনের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান আগের বছরের ১৬তম থেকে উঠে এসেছে ১৫তম স্থানে। র্যাংকিংয়ে শীর্ষ ১০০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চীনের মূল ভূভাগের ৫১টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। আগের বছরে যে সংখ্যা ছিল ৪২।

চীনের শিক্ষার মান দিন দিন উন্নত হচ্ছে, শিক্ষাব্যবস্থা আধুনিক থেকে আধুনিকতর হচ্ছে। এ সত্য এখন আর অস্বীকার করার উপায় নেই। বিশেষ করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে চীনের উন্নয়ন অবাক-করা। চীনের বিজ্ঞানীদের তৈরি চন্দ্রযান চাঁদের অন্ধকার অঞ্চলে নেমে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে; মঙ্গলযান ছুটে চলেছে মঙ্গল গ্রহের পানে। বিজ্ঞান ও প্রযু্ক্তির জগতে একের পর এক বিস্ময় সৃষ্টি করে চলেছে চীন। বিশ্বগ্রামে এখন আর এসব সত্য চেপে রাখার উপায় নেই। শত্রুরা বসে নেই, এ কথা সত্য। চীনের টেক জায়ান্ট হুয়াওয়ের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে; টিকটকের মতো একটি চীনা ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপকে ছলে-বলে-কৌশলে দখল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে খোদ ট্রাম্প-প্রশাসন। কিন্তু দিনশেষে চীন সামনে এগিয়েই যাবে; সমৃদ্ধ হতে থাকবে চীনের শিক্ষা ও জ্ঞানের ভাণ্ডার। আর এই সমৃদ্ধ শিক্ষা ও জ্ঞানের প্রতি আকৃষ্ট হতে থাকবে মীম-ঊমিরা। মহামারি তাদের শিক্ষার পথে সাময়িক বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, এ কথা সত্য। কিন্তু সকল বাধা শিগগিরি দূর হবে, তাদের পদচারণায় আবারও মুখরিত হবে চীনের শত শত বিশ্ববিদ্যালয়, এমন আশা আমরা করতেই পারি।

লেখক : বার্তা সম্পাদক, চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি)alimulh@yahoo.com

এইচআর/এমএস