আমাদের যদি চুল কাটানোর দরকার পড়ে? আমরা কেনো সামাজিক দূরত্ব মেনে আরেক খেলোয়াড়ের রুমে যেতে পারব না? ফটোশ্যুটের সময় আমরা হাই ফাইভ বা হাগ করতে পারব? মেক-আপ আর্টিস্টের ব্যাপারে নিয়মটা কী? দলের সঙ্গে যে নাপিত থাকবে, সে কি পিপিই পরা থাকবে? সবসময় কি হাতে ব্লুটুথ রিস্টব্যান্ড পরে থাকতে হবে?- গত সোমবার আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সঙ্গে এক ওয়েবিনারে এসব প্রশ্ন করেছেন আইপিএলে অংশ নিএ যাওয়ার খেলোয়াড়রা।
Advertisement
করোনাভাইরাস সতর্কতার কারণে যেসব নিয়মকানুন মানতে বলা হয়েছে খেলোয়াড়দের, সেখানে বলা আছে একজন খেলোয়াড় অন্য খেলোয়াড়ের রুমে যেতে পারবে না। এমনকি টুর্নামেন্ট শেষ হওয়া অবদি বায়ো সিকিউর বাবল ভেঙে অন্য কোথাও যাওয়ার অনুমতিও নেই। খেলোয়াড়রা দেখা করতে চাইলে নিজ নিজ রুমের দরজায় দাঁড়িয়ে দেখা করবে কিংবা নির্ধারিত মিটিং রুমে মিলিত হবে। সেখানে আবার মানতে হবে দুই মিটার সামাজিক দূরত্ব।
খেলোয়াড়দের এই সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণের জন্য সবার হাতে থাকবে একটি ব্লুটুথ ডিভাইসসমৃদ্ধ রিস্টব্যান্ড। যখন কোনো খেলোয়াড় তার সামনের জনের দুই মিটারের মধ্যে চলে আসবে, তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে হাতের ডিভাইসটি এলার্ম বাজাবে। শুধুমাত্র ঘুমানোর সময় ছাড়া বাকি পুরোটা সময় হাতে রাখতে হবে এই ডিভাইস। এমনকি খেলোয়াড়দের সঙ্গে থাকা পরিবারের সদস্যদেরও পরতে ব্লুটুথ ডিভাইসটি।
এছাড়াও টিম বাসে খেলোয়াড়দের জিগজ্যাগ করে বসতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যাতে করে তারা এক অপরের খুব কাছাকাছি না চলে আসে। খেলোয়াড়দের অনেকে অন্তত হোটেলের লবিতে বসে আড্ডা দেয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন। কিন্তু আয়োজকরা এই অনুমতিও দেননি।
Advertisement
রাজস্থান রয়্যালসের বাঁহাতি পেসার জয়দেব উনাদকাত জানিয়েছেন, এসব নিয়মের বেড়াজালে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন তিনি। কেননা আগে কখনও এমনটা হয়নি আর এখন কি না বাধ্যতামূলকভাবে মানতে হবে এসব নিয়মকানুন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে উনাদকাত বলেছেন, ‘আমার মতে, একজন খেলোয়াড় অন্য আরেক খেলোয়াড়ের রুমে না যেতে পারার নিষেধাজ্ঞাটাই আমাদের জন্য সবচেয়ে কঠিন বিষয় হতে যাচ্ছে। কেননা আমরা আগে কখনও এসব দেখিনি। আপনি যখন লম্বা সময় দেশের বাইরে থাকেন, তখন কথা বলার জন্য হলেও একজন মানুষ দরকার হয়। কাজটা খুবই কঠিন হবে। কিন্তু এর বাইরে আর কোনো পথও নেই।
এসএএস/জেআইএম
Advertisement