আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন না নতুন ভোটাররা। তাই প্রায় অর্ধকোটি ভোটার এ নির্বাচনের বাইরে থেকে যাচ্ছেন। তবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন তারা।এ বিষয়ে ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদে যাদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে তারা এখনও ভোটার হননি। ৩১ জানুয়ারির পর তারা ভোটার হবেন। ফলে বিদ্যমান ভোটার দিয়েই পৌর নির্বাচন করতে হচ্ছে। জানা যায়, সম্প্রতি ভোটার তালিকা হালনাগাদের তথ্য সংগ্রহ ও ছবি তোলার কাজ শেষ হলেও আইন অনুযায়ী ৩১ জানুয়ারিতে এসব ভোটারকে চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।ইসি কর্মকর্তারা জানান, আইনি বাধ্যবাধকতা থাকায় ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য ২৪৫ পৌর নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন না নতুন ভোটাররা। অন্যদিকে, মার্চ ও এপ্রিল জুড়ে সারাদেশে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া প্রায় সাড়ে চার হাজার ইউপি নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন এসব নতুন ভোটার। কেননা ৩১ জানুয়ারি হালনাগাদ করা ভোটারদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। এর আগে জানুয়ারি জুড়ে এসব ভোটার সম্পর্কে চলবে দাবি-আপত্তি গ্রহণ, শুনানি ও নিষ্পত্তি।ইসি সূত্র জানায়, অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে ৪২ লাখ ৯৯ হাজার ৩৬০ জন নতুন ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। জানুয়ারিতে ভোটার তালিকায় তারা যোগ হবেন। ১৭ জুন স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে পৌরসভাগুলোর আলাদা তালিকা ও মেয়াদোত্তীর্ণ পৌরসভার তালিকা নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। সর্বশেষ নির্বাচনের তারিখ, প্রথম সভা অনুষ্ঠানের তারিখ ও মেয়াদোর্ত্তীণের তারিখ দিয়ে ৩২৩ পৌরসভার তালিকা দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ২০১১ সালের জানুয়ারিতে ২৪০টি পৌরসভার ভোট হয়েছে। সীমানা ও আদালতের আদেশে ১৩টি পৌরসভার নির্বাচন তখন হতে পারেনি। এবার এসব পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো বাধা নেই বলেও তালিকায় উল্লেখ করা হয়। মেয়াদোত্তীর্ণ পৌরসভা বা কাছাকাছি সময়ে মেয়াদ শেষ হবে এমন ২৪৫ নির্বাচনযোগ্য পৌরসভার তালিকা চূড়ান্ত করেছে কমিশন। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১১ সালে এ টি এম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন ২৮৫টি পৌরসভা নির্বাচন চার ধাপে আয়োজন করেছিল।এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে আড়াইশ’র মতো পৌরসভায় নির্বাচন হবে। সে অনুযায়ী নভেম্বরের মাঝামাঝিতে তফসিল ঘোষণা করা হবে। কারণ আইন অনুযায়ী ওই সময়ের মধ্যেই নির্বাচন করতে হবে। আইনে বলা আছে, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে।এদিকে আগামী ডিসেম্বরে পৌরসভা এবং মার্চ-এপ্রিলে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। এইচএস/এসকেডি/আরএস/এমএস
Advertisement