সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠায় ইসলামে রয়েছে অনেক দিকনির্দেশনা। ব্যক্তি, পরিবার কিংবা সামাজিকভাবে অসহায়দের সহযোগিতায় উদ্বুদ্ধ করতে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনেক উপদেশ ও সুসংবাদ দিয়েছেন। এসব সুসংবাদের মধ্যে অন্যতম একটি হলো, দুনিয়ার গরিব-অসহায়দের মৌলিক প্রয়োজনীয় জিনিস কাপড়-চোপড় দান করা। আর তাতে কেয়ামতের দিন জান্নাতে সুবজ পোশাক ও আল্লাহর নিরাপত্তা মিলবে। হাদিসে এসেছে-
Advertisement
- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানকে কাপড় পরলো, তার শরীর আবৃত্ত করল, কেয়ামতে দিন আল্লাহ তাআলা ওই বান্দাকে জান্নাতের সবুজ পোশাক পরাবেন। তার শরীর আবৃত্ত করবেন।' (আবু দাউদ)
- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন যে, কোনো ব্যক্তি কোনো মুসলমানকে কাপড় পরালে যে পর্যন্ত এ কাপড় ওই ব্যক্তির পরনে থাকবে ততদিন পর্যন্ত দানকারী ব্যক্তিকে আল্লাহ তাআলা নিজের খাছ হেফাজতে রাখবেন।' (তিরমিজি)
সুতরাং নিজের পরিবার কিংবা প্রতিবেশি, আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে যারা অসহায়, পোশাক পরার কিংবা শরীর ঢাকার মতো কোনো কাপড় নেই। তাদের জন্য নিজের হোক কিংবা নতুন কাপড় দেয়া রয়েছে অনেক উপকারিতা।
Advertisement
হাদিসের ঘোষণা অনুযায়ী বিচারের দিন কাপড় দানকারী জন্য থাকবে জান্নাতের সবুজ পোশাক আর আল্লাহর জিম্মায় থাকবে সে ব্যক্তি।
এ কারণেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেদের পুরনো কাপড়গুলো হলেও গরিবদের দান করার নসিহত পেশ করেছেন। হয়তবা এ আমলেই মুমিন মুসলমান শেষ বিচারের দিন জান্নাতের সবুজ পোশাক ও আল্লাহর কাছে নিরাপত্তা লাভ করবে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দৈনন্দিন জীবনে হাদিসে নির্দেশিত ছোট ছোট এ আমলগুলো পালনের মাধ্যমে জান্নাতি পোশাক ও আল্লাহর কাছে নিরাপত্তা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমকেএইচ
Advertisement