রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দেশের যুব সমাজের অমিত সম্ভাবনাকে স্ব স্ব ক্ষেত্রে কাজে লাগানোর সুযোগ করে দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। জাতীয় যুব দিবস ২০১৫ উপলক্ষে শনিবার এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান। প্রতি বছরের মতো এ বছরও ‘জাতীয় যুব দিবস ২০১৫’ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালিত হচ্ছে জেনে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি দেশের যুবসমাজকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।তিনি বলেন, যুবরা দেশের প্রাণশক্তি এবং উন্নয়নের প্রধান কারিগর। ১৯৫২-এর মহান ভাষা আন্দোলন, ’৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৯৬ এর ছয় দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, স্বাধিকার ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনসহ মহান মুক্তিযুুদ্ধে দেশের যুবসমাজের ভূমিকা অত্যন্ত গৌরবোজ্জ্বল।রাষ্ট্রপতি বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আজ বয়স্ক ও নির্ভরশীল জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অথচ উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন যুব ও তরুণ সমাজ। বাংলাদেশের জনংসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ যুব যা দেশের বিশাল সম্পদ। তাই যুবদের উপযুক্ত শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, মানবিক মূল্যবোধ ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ে যোগ্য ও আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস যুবদের কর্মতৎপরতা, মেধা, মনন ও সৃজনশীলতা আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ সমৃদ্ধির স্বর্ণশিখরে আসীন হবে।’রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে যথেষ্ট অগ্রগতি অর্জন করলেও স্বাধীনতার কাক্সিক্ষত সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে আরো অনেক দূর এগিয়ে যেতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করতে চেয়েছিলেন। তার সেই স্বপ্নপূরণে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ভিশন ২০২১’ ও ‘ভিশন ২০৪১’ ঘোষণা করেছেন। জাতির লক্ষ্য ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে দেশকে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করা।তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হতে চলেছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত করতে সক্ষম হবে। এ প্রেক্ষাপটে এ বছর জাতীয় যুব দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ‘জেগেছে যুব, জেগেছে দেশ; লক্ষ্য ২০৪১-এ উন্নত বাংলাদেশ’ যথার্থ হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।আবদুল হামিদ বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের যুবসমাজ একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে অবদান রাখবে, জাতীয় যুব দিবসে এটাই সকলের প্রত্যাশা।বিএ
Advertisement