সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ায় ৩নং সতর্কথঅ সংকেত ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে সেন্ট মাটিন দ্বীপে ১৫০ জন পর্যটক আটকা পড়েছেণ। শনিবার টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌরুটে ট্রলার যেতে না পারায় নিত্যপ্রয়োজনীয খাদ্যের সংকটের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এতে করে মওসুমের শুরুতেই ধাক্কা লেগেছে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের পর্যটন ব্যবসায়।কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজের টেকনাফ ইনচার্জ মো. শাহ আলম জানান, সতর্কতা সংকতের কারণে সেন্ট মার্টিনে জাহাজ যেতে পারেনি। শত শত পর্যটক জাহাজ ঘাটে এসে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে যেতে না পেরে টেকনাফ থেকে গন্তব্যে ফিরে গেছেন। আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে আটকা পড়া পর্যটকদের সেন্ট মাটিন থেকে ফেরত আনা হবে।সংশ্লিষ্টরা জানান, বৃহস্পতি ও শুক্রবার সহস্রাধিক ভ্রমণপিপাসু সেন্ট মার্টিন যান। দিনে অধিকাংশই ফিরে এলেও সেখানে বিভিন্ন হোটেলে থেকে গেছেন দেড় শতাধিক পর্যটক। তাদের মাঝে অনেকের আজ (শনিবার) ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে পর্যটকবাহী জাহাজ দ্বীপে যেতে না পারায় নির্ধারিত সময়ে ফিরতে পারেননি সেখানে অবস্থান করা দেড় শতাধিক পর্ষটক। আটকা পড়াদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে প্রকাশ পেয়েছে। ফলে পর্যটকদের পাশাপাশি দুশ্চিতাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন দ্বীপবাসীও।সেন্ট মাটিনে বেড়াতে গিয়ে আটকাপড়া ঢাকার আরিফুল ইসলাম আরমান বলেন, দু’দিনের সফরে কয়েক বন্ধু মিলে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে এসেছি। হঠাৎ লঘুচাপের কারণে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌ-রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায় শনিবার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন আবহাওয়া স্বাভাবিক না হলে জাহাজ চলাচলও স্বাভাবিক হবে না। এমনটি হলে আমাদেরকে সেন্ট মার্টিনে আটকা পড়ে থাকতে হবে।সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যন আব্দুর রহমান জানান, সেন্ট মার্টিনে বেড়াতে এসে দেড় শতাধিক মতো পর্যটক আটকা পড়েছে বলে খবর পেয়েছি। এসব পর্যটকদের ব্যাপারে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। যেহেতু পরিকল্পিত ব্যয় নিয়ে তারা দ্বীপে বেড়াতে আসেন সেহেতু তাদের থাকা খাওয়া নিয়ে কোনো ঝামেলা না করতে প্রত্যেক হোটেল ম্যানেজারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।তিনি আরো বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। আবহাওয়া ভালো হলে টেকনাফ পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।সায়ীদ আলমগীর/বিএ
Advertisement