ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় গত বছরের ফেব্রুয়ারির সন্ত্রাসী হামলায় ৪০ সিপিআরএফ জওয়ান নিহত হওয়ার ঘটনায় চার্জশিট দাখিল করেছে দেশটির জাতীয় তদন্ত সংস্থা। চার্জশিটে হামলার ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ হিসেবে সশস্ত্রগোষ্ঠী জঈশ-ই-মোহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার এনডিটিভি ও আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইন প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) তৈরি ৫ হাজার পৃষ্ঠার চার্জশিটে পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে মাসুদ আজহারের ভাই রউফ আসগরকেও। সোমবার জম্মু-কাশ্মীর একটি বিশেষ আদালতে ওই চার্জশিট দাখিল করা হয়।
২০১৮ সালে পুলওয়ামায় ভারতের আধা-সামরিক বাহিনী সিপিআরএফ-এর গাড়িবহর লক্ষ্য করে চালানো আত্মঘাতী ওই হামলার পর জাতিসংঘ ২০১৯ সালের ১ মে মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী বলে চিহ্নিত করে। এএনআই চার্জশিটে লিখেছে, পাকিস্তানের উসকানিতেই ওই আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়েছিল।
এনআইএ এর অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) সনিয়া নারাং জানান, চার্জশিটে মাসুদ, রউফসহ মোট অভিযুক্তের সংখ্যা ২০ জন। ষড়যন্ত্রকারী তাদের বিরুদ্ধে, পাকিস্তানি জঙ্গিদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা এবং অন্য সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে তারা।
Advertisement
নারাং বলেন, ‘আমরা আজ আদালতে দীর্ঘ একটি চার্জশিটটি জমা দিচ্ছি। এতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিস্তৃত তথ্যপ্রমাণ দেওয়া হয়েছে’। পুলওয়ামা-কাণ্ডে জড়িত হামলাকারীদের সঙ্গে ফোনে মাসুদ আজহারের ভাই রউফ আসগরের কী কথা হয়েছিল সে বিষয়ে চার্জশিটে বিস্তারিত প্রমাণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পুলওয়ামা-কাণ্ডে আত্মঘাতী জঙ্গি আদিল আহমেদ দার ও তাকে বিস্ফোরক সরবরাহকারী জঈশ-ই-মোহাম্মদ কমান্ডার ওমর ফারুক ও কামরানের নাম রয়েছে চার্জশিটে। এ বছর ভারতীয় সেনা অভিযানে ফারুক ও কামরান দু’জনই নিহত হন। হামলায় জড়িত সন্দেহে কাশ্মীর থেকে ৭ জেইএম সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
গত বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি হামলার পরদিন সশস্ত্রগোষ্ঠী জঈশ-ই-মোহাম্মদ তার দায় স্বীকার করেছিল। পুলওয়ামা হামলার জবাব দিতে পাকিস্তানের বালাকোটের ‘জঙ্গিশিবির’ লক্ষ্য করে বিমান হামলা তথা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছিল ভারতের বিমানবাহিনী। এ নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে সংঘাত-পরিস্থিতি তৈরি হয়।
এসএ
Advertisement