দুর্বৃত্তদের হামলায় ছেলে জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনের হত্যাকারীদের বিচার চান না বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এ দেশের আদালতে বিচার হয় না। তবে এ ঘটনায় একটি মামলা করবেন তিনি।শনিবার সন্ধ্যায় তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, এদেশের আদালতে বিচার চেয়ে লাভ কী? মানুষের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। শুধু নিয়ম অনুযায়ী আদালতে ছেলে হত্যার একটি মামলা করবো। আশা করি উভয় পক্ষেরেই শুভ বুদ্ধির উদয় হবে।তিনি আরো বলেন, ‘দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ছেলে আমার সঙ্গেই ছিল। এর পর ফয়সাল তার প্রকাশনী প্রতিষ্ঠানে যায়। খোঁজ নেয়ার পর আমি তাকে কয়েকবার ফোন দিই। কিন্তু সে মোবাইল ধরেনি। এরপর আমি বিকেল ৪টার দিকে আজিজ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলার ১৩১ নম্বর ছেলের কার্যালয়ে যাই।নিহতের বাবা আরো বলেন, ওই সময় তিনি কার্যালয়ের দরজা খুলতে গিয়ে বন্ধ পান। এ সময় কাচের দরজা দিয়ে ভেতরে আলো জ্বলতে দেখেন। ছেলে বাইরে গেছে ভেবে তখন তিনি সেখান থেকে চলে যান। পরে ছেলের বউকে ফোন করলে জানতে পারেন, দুর্বৃত্তরা লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর মালিক আহমেদুর রশীদ টুটুলসহ তিনজনকে কুপিয়ে জখম করেছে। এই কথা শুনে তিনি লোকজন নিয়ে আবার ছেলের কার্যালয়ে গিয়ে দরজা ভেঙে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় তার ছেলে পড়ে আছে।ওই অবস্থায় ফয়সাল আরেফিনকে উদ্ধার করে তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সন্ধ্যা ৭টার দিকে হাসপাতালের আবাসিক সার্জন রিয়াজ মোর্শেদ দীপনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।এদিকে ছেলে ফয়সাল হত্যার খবর শুনে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইমার্জেন্সি বিভাগে যান মা। গিয়ে শুধু ‘আমার ছেলেকে কে হত্যা করেছে?’ বলে কাঁদতে থাকেন তিনি। এর কিছুক্ষণ পর দীপনের শ্বশুর-শ্বাশুড়ি যান ডিএমসিতে।এমএইচ/বিএ
Advertisement