সম্মানিত মাস মহররম। ১৪৪২ হিজরি সনের এবার আশুরা হবে ৩০ আগস্ট রোববার। সে হিসেবে রোজা রাখতে হবে ২৯-৩০ আগস্ট মোতাবেক শনি ও রোববার।
Advertisement
এ মাসের অন্যতম আমল রোজা পালন করা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আশুরায় নিজে রোজা রেখেছেন এবং সাহাবাদের রোজা রাখতে বলেছেন। বর্ণনা করেছেন আশুরার রোজার অসামান্য ফজিলত ও মর্যাদা।
এ মাসকে সম্মান দেখানোর অন্যতম কারণ হলো- মাসটির নাম ’মহররম’। এর অর্থ- সম্মানিত। আর হাদিসেও এ মাসটিকে আল্লাহর মাস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, এটি (মহররম) শাহরুল্লাহ তথা আল্লাহর মাস।’ (মুসলিম)
আশুরার রোজার ফজিলত বর্ণনা করে হজরত আবু কাতাদাহ আনসারি রাদিয়াল্লাহু আনহুর বর্ণনায় এসেছে-রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আশুরার রোজা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘আশুরার রোজা বিগত এক বছরের গোনাহের কাফফারাহ হবে।’ (মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ)
Advertisement
আশুরার রোজা রাখার কারণ বর্ণনা ও নির্দেশহজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনায় এসে দেখলেন, ইয়াহুদিরা আশুরার দিন রোজা পালন করছে। তখন তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, এটা কিসের রোজা?তারা (ইয়াহুদিরা) বলল, এটা একটা উত্তম দিন। আল্লাহ তাআলা এ দিন বনি ইসরাইল জাতিকে তাদের দুশমন (ফেরাউন)-এর আক্রমণ থেকে নিরাপদ করেছেন। তাই (হজরত) মুসা আলাইহিস সালাম এ দিন রোজা রেখেছিলেন।তখন নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তোমাদের চেয়ে আমিই (হজরত) মুসা (আলাইহিস সালাম)-এর (আদর্শ পালনে) বেশি হকদার। কাজেই তিনি নিজে আশুরার রোজা রাখলেন এবং অন্যদেরকেও রোজা রাখতে বললেন।’ (বুখারি,মুসলিম, ইবনে মাজাহ, আবু দাউদ, মুসনাদে আহমাদ, বায়হাকি)
আশুরার রোজাবিশ্বনবির নির্দেশনা অনুযায়ী আশুরার রোজা রাখার সময়টি ঘনিয়ে এসেছে। ১০ মহররম ঠিক রেখে আগের কিংবা পরের দিন মিলিয়ে নেয়া উত্তম। সে হিসেবে চাইলে ২৯-৩০, শনি ও রোববার রোজা রাখা যায়। আবার চাইলে ৩০-৩১ আগস্ট রোববার ও সোমবার রোজা রাখা যায়।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে আশুরার এ রোজা পালনের মাধ্যমে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশ পালন করার তাওফিক দান করুন। বিগত এক বছরের গোনাহ থেকে মুক্ত করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম
Advertisement