চীনের উহানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিলেও তিন মাসেরও বেশি সময় পর বাংলাদেশে ৮ মার্চ সর্বপ্রথম আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। শনাক্তের দশদিন পর ১৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যু হয়।
Advertisement
সর্বশেষ ২৪ আগস্ট পর্যন্ত রাজধানীসহ সারাদেশের করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৯৭ হাজার ৮৩ জন। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৯৮৩ জনের অর্থাৎ মৃতের সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার ছুঁই ছুঁই।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৩ হাজার ৯৮৩ জনের মধ্যে ৯০ শতাংশ মৃতের বয়স ৪০ বছরের ঊর্ধ্বে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা মারা যাচ্ছেন তারা ডায়াবেটিস উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আগে থেকেই আক্রান্ত ছিলেন। এ ধরনের বহু রোগে যারা ভুগছেন তারা করোনা আক্রান্ত হলে মৃত্যু ঝুঁকি বেশি থাকছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত মোট মৃত ৩ হাজার ৯৮৩ জনের মধ্য ০ থেকে ১০ বছরের ১৯ জন (০ দশমিক ৪৮ শতাংশ), ১১ থেকে ২০ বছরের ৩৫ জন (০ দশমিক ৮৮ শতাংশ), ২১ থেকে ৩০ বছরের ৯৫ জন (২ দশমিক ৩৯ শতাংশ), ৩১ থেকে ৪০ বছরের ২৪৯ জন (৬ দশমিক ২৫ শতাংশ), ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৫৩৩ জন (১৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ), ৫১ থেকে ৫০ বছরের ১ হাজার ১০৫ জন (২৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ) এবং ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১ হাজার ৯৪৭ জন (৪৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ) মৃত্যু হয়।
Advertisement
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৪২ মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব দুইজন, চল্লিশোর্ধ্ব নয়জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১২ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ১৯ জন ছিলেন। ঢাকা বিভাগের ছিলেন ২১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের সাতজন, রাজশাহী বিভাগের তিনজন, খুলনা বিভাগের ছয়জন, বরিশাল বিভাগের একজন, রংপুর বিভাগের দুইজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ছিলেন দুইজন।
এ পর্যন্ত মৃতদের মধ্যে পুরুষ তিন হাজার ১৩৭ জন (৭৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ) এবং নারী ৮৪৬ জন (২১ দশমিক ২৪ শতাংশ)। করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯১টি আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে ১৩ হাজার ৬৭৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং পরীক্ষা করা হয় ১৩ হাজার ৩৮২টি নমুনা। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৫৬ হাজার ৩৮ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও দুই হাজার ৪৮৫ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ৯৭ হাজার ৮৩ জনে। একদিনে মৃত্যুর মিছিলে যুক্ত হয়েছেন আরও ৪২ জন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট মারা গেলেন তিন হাজার ৯৮৩ জন।
এমইউ/এমআরএম
Advertisement