পরিকল্পিতভাবেই এ হামলা চালানো হয়েছে। তারা সঙ্গে করেই নিয়েছিল ছিল বড় তালা। হামলা করে পালিয়ে যাওয়ার সময় দরজায় তালা লাগিয়ে চলে যায়। হামলায় আহতরা জানিয়েছেন হামলায় অংশ নিয়েছিল ৫ জন। পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন।এ ঘটনায় আহত শুদ্ধস্বরের প্রকাশক আহমেদুর রশীদ টুটুল তারেক রহিম ও রনদীপম বসু গুরুতর আহত হয়। পরে তাদের গুরুতর আহতাবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওয়াশিকুর ও রাসেল নামে আরও দুইজন আহতকে পরে ঢামেকে ভর্তি করা হয়।লালমাটিয়াস্থ সি ব্লকের ৮/১৩ নং পাঁচতলা ভবনের চারতলায় শুদ্ধস্বরের কার্যালয়। শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে হামলার ঘটনা ঘটে।পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, দুর্বৃত্তদের মূল উদ্দেশ্য কি ছিল তা এখনই বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে।তিনি আরো বলেন, হামলাকারীরা পরিকল্পিতভাবেই এসেছিল। অফিসে পাঁচজন কাজ করছিল। বই কেনার কথা বলে একজন প্রবেশ করে। তারা অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে। এরপর গুলি চালায় ও কোপায়। যাওয়ার সময় তারা তালা লাগিয়ে চলে যায়।বিপ্লব বলেন, টুটুলের নাম্বার থেকে একটা এসএম আসে আমাকে বাঁচান। প্লিজ আমাকে বাঁচান। এরপরেই পুলিশ দরজা ভেঙ্গে তাদের ঢামেকে নিয়ে যায়।উল্লেখ্য, বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায়ের ‘অবিশ্বাসের দর্শন’সহ কয়েকটি বই প্রকাশ করেছে শুদ্ধস্বর। গত ফেব্রুয়ারিতে বইমেলার বাইরে প্রবাসী লেখক অভিজিৎকে কুপিয়ে হত্যার সঙ্গে জঙ্গিরা সংশ্লিষ্ট বলে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে। তবে শুদ্ধস্বর কার্যালয়ে হামলায় কারা জড়িত, কেন হামলা করা হয়েছেন তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায় নি।অভিজিৎ নিহত হওয়ার পর সরব হওয়ার মধ্যে ফেইসবুকে হত্যার হুমকি পাওয়ার কথা জানিয়ে টুটুল মোহাম্মদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন।জেইউ/এএইচ/আরআইপি
Advertisement